বিদেশে পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনলে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছর এই সংবাদ সম্মেলন ভার্চুয়াল উপায়ে হলেও এ বছর অর্থমন্ত্রী সশরীরেই সংবাদ সম্মেলন করছেন।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। রীতি অনুযায়ী সংসদে বাজেট উত্থাপনের পরদিন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবেন।”
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরীসহ অন্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তিনি এই বাজেট পেশ করেন।
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের চূড়ান্ত আকার (ব্যয়) ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। বাজেটে মোট জিডিপি‘র (মোট দেশজ উৎপাদন) আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। এতে বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশ।