অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন। এটি তার চতুর্থ বাজেট। ঘোষিত বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের সম্পূরক শুল্ক, আমদানিশুল্ক অথবা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কমানো হয়েছে। এতে পণ্য আমদানিতে ব্যয় কমতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।
দাম কমবে যেসব পণ্যের
দাম কমবে মুড়ি, প্রেসার কুকার, পাওয়ার টিলার, মাইক্রোবাস, হাইব্রিড গাড়ি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, দেশীয় মুঠোফোন, ক্যাপসিকাম, পেপার, স্পিনিং মিলের পেপার, দেশীয় রড ও নির্মাণ সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রাংশ, স্থানীয় উৎপাদিত খেলনা, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, রেফ্রিজারেটর, এসি, হুইলচেয়ার, এমএস রড, থ্রি হুইলার, আমদানিকৃত পশুখাদ্য, উড়োজাহাজ, চিনি, হাতে তৈরি ফাইবার, সিসিটিভি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্র।
এর আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বেলা ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অর্থমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বড় ব্যয়ের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যেখানে বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা, যা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি।
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের আয়ের খাতগুলো থেকে কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার।
এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।