জমি সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাইকে হত্যা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২, ০৪:৪০ পিএম

নোয়াখালীর কবিরহাটে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনকে (৪৫) মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন ছোট ভাই মো. আব্দুল হাই মাস্টার (৪৩)।

রোববার (২৯ মে) রাজধানীর জিগাতলা থেকে মো. আব্দুল হাই মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, শনিবার (২১ মে) বিকেলের দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার নবাবপুর এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দেলোয়ার ও মো. আব্দুল হাই মাস্টারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধ একপর্যায়ে ঝগড়ার রূপ নিলে মো. আব্দুল হাই মাস্টার তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দেলোয়ার হোসেন।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে নোয়াখালীর মাইজদী সদরের গুডহিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগ মুহূর্তে তিনি মারা যান।

সিআইডি আরও জানায়, ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর থেকেই এ বিষয়ে সিআইডি নজরদারি করছিল। পরে রোববার (২২ মে) ভিকটিমের স্ত্রী সাজেদা আক্তার বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় মো. আব্দুল হাই মাস্টার ও তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন শিউলীকে (৩৮)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. আব্দুল হাই সিআইডির কাছে ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

সোমবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

মুক্তা ধর বলেন, “ভিকটিম ও অভিযুক্ত মো. আব্দুল হাই মাস্টারসহ তারা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন। সবাই বিবাহিত। ভাইয়েরা একই বাড়িতে বসবাস করলেও আলাদা আলাদা ঘরে তারা থাকেন। আব্দুল হাই মাস্টার ভাই-বোনদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বেশি সম্পত্তি ভোগ করছিলেন। এ নিয়ে তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সর্বশেষ গত ২১ মে জমি ভাগাভাগি নিয়ে হাই মাস্টার ও দেলোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাই মাস্টার ঘর থেকে লাঠি এনে তার বড় ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। এতে দেলোয়ার গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা আসতে থাকলে হাই মাস্টার পালিয়ে যান।”

এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান এএসপি মুক্তা ধর।