ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, “সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের খরচ ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।”
তিনি আরও জানান, “সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য এ অর্থ বাড়ানো হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গতকাল সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনায় অবস্থান স্থলের ভিত্তিতে ৪ ভাগে বিভক্ত করে ৪ ধাপে ব্যয়ের বিবরণ নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ‘সি’ ও ‘ডি’ প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী, মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ৮ হাজার ৬৪০ সৌদি রিয়েল এবং ‘ডি’ ৭ হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়েল নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোয়াল্লেম ফি বেড়েছে ‘সি’ অনুসারে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা এবং ‘ডি’ অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা। এগুলো বিবেচনা না করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সৌদি আরবের আবশ্যকীয় ব্যয় জন প্রতি ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে।”
মঙ্গলবার (২৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানা যায়, হজযাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে প্রথম হজ ফ্লাইট ৩১ মের পরিবর্তে ৫ জুন থেকে শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের পত্রে আরও জানা যায়, “রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভের আওতায় ২০২২ সনের হজে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবগামী শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের ইমগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩১ মে প্রথম হজফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে সকল ধরনের প্রস্তুতিও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অদ্য রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ বাস্তবায়নকারী সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এসে জানান রুট টু মক্কা ইনেশিয়েটিভের জন্য ৪০জন জনবলসহ সৌদি টিম ঢাকায় আগামী ২ জুনের আগে এসে পৌঁছাতে পারবে না এবং প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস/যন্ত্রপাতি এখানো ঢাকায় এসে পৌঁছেনি। এসকল ডিভাইস/যন্ত্রপাতি উল্লেখিত সৌদি টিমের সঙ্গে ঢাকায় আসবে। এই যন্ত্রপাতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইনস্টল করতে হবে। এতে কিছু সময় লাগবে। ফলে আগামী ৫ জুনের আগে তাদের পক্ষে ঢাকা থেকে হজযাত্রীদের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।”