ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় সঙ্গে সঙ্গে কাউকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার না করে আগে অভিযোগটি ওই আইনে দায়ের করা যায় কি না তা যাচাই করে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ মামলা বা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেন অপব্যবহার না হয় সেজন্য পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সচেতন থাকতে হবে।”
শনিবার (২১ মে) দুপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে বাক-স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার। বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে সংবিধান আছে কোথাও এর পরের জিনিসটা নেই। ভারতের সংবিধান দেখেন; যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংযোজন করে দিয়ে গিয়েছিলেন—সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা।”
মামলার জট কমাতে আদালতের খরচ বাড়ানো হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “আদালতের খরচ বাড়ালে মানুষ চিন্তা করবে আজ যদি আমি তারিখ নেই তাহলে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগবে। তখন মানুষ আর সময় নিতে চেষ্টা করবে না।”
সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারা বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি তো শুনে শুনে বড় হয়েছি- সিভিল কেস বেগুন খেতের মতো। এটা প্রচলিত ছিল। এই জিনিসটা পরিবর্তন করতে হবে। সিপিসি যখন করা হয়েছিল তখন প্রযুক্তি এত উন্নয়ন হয়নি। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখান থেকে আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড।”
নারীদের সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকের পৃথিবীতে নারীদের এভাবে বেইজ্জত করতে আমরা পারি না। ১৪৬ ধারা ৩ উপধারা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা যখন মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছিল, তখন আলোচনা হয়েছে। আমরা চিন্তা করছি, কতটা গেলে নর-নারী উভয়ের সমস্যার সমাধান করা যায়।”