তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ সঙ্গে বৈঠকেও কামরাঙ্গীরচরে গ্যাস সংকটের সমাধান এখনও হয়নি। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের গ্যাস সংযোগ বন্ধের সমস্যা সমাধানে আগামী ১৯ মে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈঠক করবে তিতাস।
বুধবার (১৮ মে) থেকে এলাকায় অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের অভিযান শুরু হবে। এ জন্য কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে তিতাস। তবে এলাকাবাসী গ্যাস পাবে কবে তা এখনও অনিশ্চিত।
বৈধ সংযোগের চেয়ে ৫ গুণ বেশি অবৈধ সংযোগ এবং বৈধ গ্রাহকদের কাছে ৬৭ কোটি বকেয়ার অভিযোগে গত ১০ মে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কামরাঙ্গীরচরের সকল গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে তিতাস।
তিতাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অবৈধ গ্রাহকদের শায়েস্তা করতে গ্যাসের ভাল্ব খুলে নিয়ে আসা হয়েছে। এজন্য বৈধদের সংযোগও বিচ্ছিন্ন।
বর্তমানে আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে কামরাঙ্গীরচরে তিতাসের গ্রাহক আছে ১২ হাজারের মতো।
সোমবার (১৬ মে) কাওরান বাজারে তিতাসের প্রধান কার্যালয়ে এই সমস্যার সমাধানে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন এলাকার তিন কাউন্সিলর।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা তিতাসের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তারা তাদের কথা বলেছেন। আমরা আমাদেরটা বলেছি। তাদের দাবি ছিল দ্রুত গ্যাসের সংযোগ দিয়ে দেওয়া। আমরা বলেছি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া পরিশোধের আগে সংযোগ দেওয়া হবে না।
কামরাঙ্গীরচরের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হোসেন বলেন, “তিতাস জানিয়েছে, এলাকায় ৮৩ কোটি বকেয়া ও প্রচুর অবৈধ লাইন আছে। এসব বিষয়ে ১৯ মে এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈঠক করতে চায় তিতাস তাতে আমরা সম্মতি জানিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “লাইন কাটার আগে জানানো উচিত ছিল। তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হতো না। আমরা বকেয়া আদায়ে সহযোগিতা করতে পারতাম। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
তিতাসের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাধার কারণেই তিতাস অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরাই এসব অবৈধ সংযোগের পেছনে থাকে। এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হতে হয় এজন্য এবার ‘ওপরে’র নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ১০ দিন গ্যাস না পেয়ে মঙ্গলবারও কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে রয়েছেন। তিতাসের বিরুদ্ধে রাস্তায়ও নেমেছেন তারা।