প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় নদী পারাপারে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় এ রুটটি পরিহার করে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে এ পরামর্শ দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “শিমুলিয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। চাপের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়ায় বড় ধরনের যানবাহন ফেরিতে পার করা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি পার করা হচ্ছে। শিমুলিয়ায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করতে পুনরায় অনুরোধ করছি।”
ঘাটে মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যানবাহন পারাপারের জন্য মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ১০টি আর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় ৪টি ফেরি রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইন শৃংখলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পবিত্র শবেকদরের ইবাদত বন্দেগি করেও মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছে। তাদের কষ্ট দেখলাম না। পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালমানের ফেরি রাখা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন। তখন শিমুলিয়াঘাটে সমস্যা থাকবে না।”