এবার গ্রীষ্মে দীর্ঘ খরা দেখা যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দাবদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি দেখতে পারে রাজধানীবাসী, এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। একই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এদিকে দাবদাহে রাজধানী পরিণত হয়েছে ফুটন্ত কড়াই। রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তায় চলে বাস। বাসা থেকে বের হলে সড়ক কিংবা গণপরিবহনের অবস্থা জ্বলন্ত চুলার মতো।
উত্তরা থেকে কারওয়ান বাজার এসেছেন সফিক মিয়া। তিনি ঈদের কেনাকাটা করতে যাবেন বসুন্ধরায়। বাস থেকে নেমেই তিনি হাঁপাচ্ছেন।
সফিক মিয়া বলেন, “এই গরমে জীবন নাভিশ্বাস। আজ জুমাবার হওয়ায় দুপুরের দিকে রাস্তায় তেমন যানজট ছিল না। অনেক তাড়াতাড়ি কারওয়ান বাজার এসেছি। কিন্তু বাসের ভেতরে যেমন গরম বাইরেও তেমনি গরম। মনে হয় মরুভূমির মতো আবহাওয়া। ঈদও এসে পড়েছে। এই গরমে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়াটাও খুব অস্বস্তিকর। তাই বৃষ্টি খবু জরুরি।”
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেছেন, “দেশের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে যে মৃদু-তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটি আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। রাজধানীতে দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এমনকি মৌসুমের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।”