কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএমপি কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়।
জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলাবাগান থানার জন্য শূন্য দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। সরকারি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে রাজউকের কোনো আপত্তি নেই মর্মেও ছাড়পত্র পাওয়া যায়। জায়গাটির প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার অরবান রেসিডেনসিয়াল জোন হিসেবে চিহ্নিত আছে মর্মে নগর উন্নয়নের ছাড়পত্র আছে। সরকারের প্রচলিত আইন ও নীতি অনুসরণে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এলাকাবাসীর নিরাপত্তার সুবিধার্থে ওই জমিতে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। ঢাকা জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত পাঠান।
সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য শূন্য দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসক জমির ক্ষতিপূরণ মূল্য বাবদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকার প্রাক্কলন পাঠন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে এই টাকার ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসক বরাবর প্রাক্কলিত টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা সরেজমিনে ডিএমপিকে ওই জমির দখলভার হস্তান্তর করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-০৪, অধিগ্রহণ মামলা নং-০৪.২০.০৮/২০১৯-২০২০ কলাবাগান থানার শূন্য দশমিক ২০ একর জমি অধিগৃহীত ও দখল হস্তান্তর বিষয়ে বাংলাদেশ গেজেটের ষষ্ঠ খণ্ডে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।
গত ২৭ মার্চ ওই জমির নামজারি ও জমাভাগকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ হতে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে।
ডিএমপি জানায়, জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমন্ডি মৌজার শূন্য দশমিক ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর সব বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়েছে। কলাবাগান থানার জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি জরিপ অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।