ধর্ষণের পর ভিডিও : মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন ৪, খালাস ২

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

নরসিংদীতে এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করার দায়ে ছয় আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুইজনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ  এ রায় দেন।

আসামিদের মধ্যে আশিকুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া, মো. রুমিন ও  মো. রবিনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন আসামি মো. ইব্রাহিম ও আবদুর রহমান।

আসামিদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।

২০১৩ সালের ২৩ মে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী শ্রমিক (২০) কর্মস্থল থেকে বাগপাড়া গ্রামে কোম্পানির মেসে ফিরছিলেন। পথে জনতা জুট মিল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তাকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।

ঘটনার পরের দিন ওই নারী বিষয়টি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক এ এস এম সাদেকুল ইসলামকে জানান। পরে পলাশ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার তৎকালীন এসআই বিপ্লব কুমার দত্ত ২০১৩ সালে ১৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ।