ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই টিকিট বিক্রি। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরৎ নেওয়া হবে না বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে ভোর থেকেই কাউন্টারে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। কাউন্টার খোলার আগেই সারিবদ্ধ হয়ে লাইনে দাড়িয়ে আছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে এবং কাউন্টারে গিয়েও অগ্রিম টিকিট নিতে পারবেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন।
এদিকে ঘরমুখী যাত্রীর কথা চিন্তা করে ঢাকার ৫টি কেন্দ্র টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কমলাপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন) থেকে যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও জানা যায়।
ঢাকা থেকে বর্হিগামী ট্রেনে প্রতিদিন মোট আসন সংখ্যা হবে ২৬ হাজার ৬৬৩টি। যার অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে এবং অর্ধেক টিকিট অনলাইনে কিনতে পারবেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে ২টি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের আরও ১৫০০ আসনের টিকিটও কাউন্টারে পাওয়া যাবে।
এছাড়াও প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে কাউন্টার থাকবে। প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধুমাত্র মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র কোচ সংযোজন করা হয়েছে।
ঈদ পরবর্তী টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে ১ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত। ২, ৩ ও ৪ মে এর অগ্রিম টিকিট বিক্রি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ করা হবে।
রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য় যাত্রীর চাপ সামলাতে ঈদের সাত দিন আগে ২৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর কোনো অফ-ডে থাকবে না। এটি যথারীতি ঈদ পরবর্তীতেও কার্যকর হবে। এতে অতিরিক্ত ৯২টি আন্তঃনগর ট্রেন বিশেষ টিপ হিসেবে পরিচালিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
এর আগে রেলমন্ত্রী জানান, ঈদে ভ্রমণের সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৯২টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২১৮টি লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বিশেষ পাহাড়ায় থাকছে পুলিশ ও র্যাব এবং জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।