ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়া বা চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে নয়, রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্ন তথ্য।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমের কাছে আসা নিউমার্কেটের সিসিটিভি ফুটেজের দেখা যায়, ইফতারের আগে নিউমার্কেটের দুই ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে নিজেদের চেয়ার বসানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় ৪ নম্বর গেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পীর সঙ্গে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মচারী কাউসারের কথাকাটাকাটি থেকে সংঘাতের শুরু।
বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন।
জানা যায়, ইফতারের আগে ওই দুই ফাস্ট ফুডের দোকানের কর্মচারীর মধ্যে চেয়ার বসানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। ইফতারের পরে বাপ্পী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে কাউসারকে শাসায়। এসময় কাউসারের লোকজন দোকানের চাপাতি ও চাকু নিয়ে বাপ্পীর লোকজনের ওপর হামলা করে। তখন পালিয়ে যায় বাপ্পীর লোকজন। এর কিছুক্ষণ পর বাপ্পী তার ঢাকা কলেজের বন্ধুদের ডেকে আনে। রাত ১১টা ৩ মিনিটে দেখা যায়, ৪ নম্বর গেট দিয়ে রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল মার্কেটে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এরপরে পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ব্যবসায়ীদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয় যে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে। এরপর সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীরা কলেজের আবাসিক হলে গিয়ে জানান, বেশ কয়েকজন ছাত্রকে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা মারধর করেছে। এ খবর পেয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে দলবল দিয়ে নিউমার্কেটে হামলা চালায়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।
মধ্যরাতে দুই পক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থীরা আবারও অবস্থান নিলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। নিহত হয়েছেন একজন।