অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ বিষয়ে আজই আদেশ দেবেন বলে জানান।
এদিন সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী অসুস্থতা বিবেচনায় সম্রাটের জামিন চেয়ে ও চার্জ গঠন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে জামিনের বিষয়ে আজই (বুধবার) আদেশ দেবেন বলে জানান বিচারক। এছাড়া চার্জ গঠনের বিষয় সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে এরই মধ্যে তিন মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সম্রাট কে মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে আনা হয়। এরপর তাকে জর্জ কোর্টের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ -এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান দুদকের মামলায় সম্রাটের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এদিকে সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
রোববার (১০ এপ্রিল) অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের এবং অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জামিন মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার তিনটিতে এরই মধ্যে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে তার আইনজীবীরা বলেছেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় জামিন পেলে সম্রাটের মুক্তিতে বাধা থাকবে না।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।