মালয়েশিয়ায় সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) কমিশন থেকে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাৎ করেন খায়রুজ্জামান।
অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষক মনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির বিভাগীয় তদন্তে খায়রুজ্জামানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামানকে ১০ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়ে খায়রুজ্জামানের আইনজীবী গণমাধ্যমকে সেসময় তিনি বলেন, “কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে।” পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এ হাইকমিশনার।
এর আগে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।