‘টিপ পরা না পরা নারী সমাজের অধিকার’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২২, ০৪:২৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

টিপ পরা না পরা নারী সমাজের অধিকার, তা নিয়ে দেশের কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের ইভটিজিং বা কুকথা বাংলাদেশের তথা সকল নারী সমাজের জন্য একটি লজ্জাস্কর ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সুবর্ণা মুস্তফা। তিনি আরও বলেন, “সে যেকোনো ধর্মের হোক-হিন্দু, মুসলিম বা বৌদ্ধ যেকোনো ধর্মের নারীই হোন না কেন।”

এ সময় তিনি শনিবার (২ এপ্রিল) ওই কলেজ শিক্ষিকাকে যে পুলিশ সদস্য ইভটিজিং ও কুৎসিত ভাষায় গালাগাল দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার (৩ এপ্রিল) পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।

এমপি সুবর্ণা বলেন, “দেশের সংবিধানের কোন আইনে লেখা আছে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে যেকোনো ধর্ম, সে বিবাহিত না অবিবাহিত যে হোক, সে যে কেউ হোক সেটা তার অধিকার। শনিবার (২ এপ্রিল) ফার্মগেটে একজন কলেজ শিক্ষিকা যখন রিকশা থেকে নেমে তার কলেজের (তেজগাঁও) দিকে যাচ্ছিলেন তখন সেখানে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের (পুলিশ) পক্ষ থেকে তাকে সুস্পষ্টভাবে ইভটিজিং বা অবজ্ঞা করা, ছোট দেখানো-এ ধরনের ব্যবহার প্রকাশ করে কুৎসিত বাক্য দিয়ে ওই কলেজ শিক্ষিকাকে অসম্মান করা হয়েছে। তিনি যখন এর প্রতিবাদ করতে গেছেন তখন তাকে তুইতামারী করা হয়েছে। এমন কুৎসিত বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

সুবর্ণা মুস্তফা বলেন, “আমি কোন দল রিপ্রেজেন্ট করি এগুলো তার ঊর্ধ্বে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, মানুষ আগে, সবাই সমান, মানুষের অধিকার সবার আগে। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা বলেছেন, মানুষকে ভালোবাসতে হবে, তার কথা বলার অধিকার, তার জীবনযাপনের অধিকার, তার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলাও করেছেন ওই শিক্ষিকা, আমি অনুরোধ করব যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বিষয়টি দেখেন তারা যদি এখনো বিষয়টি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে থাকেন তারা যেন ইমিডিয়েটলি এ বিষয়ে জোরাল পদক্ষেপ নেন। আশা করি তারা দ্রুত বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন ও পদক্ষেপ নেবেন।”

এর আগে শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে তেজগাঁও কলেজের থিয়েটারে মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকা ড. লতা সমাদ্দারকে ফার্মগেট এলাকায় প্রকাশ্যে একজন পুলিশ কর্মী ইভটিজিং করেন ও অপ্রকাশ্য ভাষায় কুৎসিত কথাবার্তা বলে অসম্মান করেন। লতা সমাদ্দার এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ কর্মী শিক্ষকার পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যান। এ নিয়ে ওইদিনই তিনি শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন।