রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকার একটি বাসায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে সারা (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সারাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টায় জানান তিনি মারা গেছেন।
সারার বাসার গৃহকর্মী আল্পনা বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামী তারেক বাসায় এসেছিল। পরে তাদের মধ্যে কী বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছে সেটা আমি বলতে পারি না। এরপর তারেক বাসা থেকে চলে গেলে নিজের রুমের দরজা লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন সারা।”
নিহত সারার খালা লিপু বলেন, “তার (সারা) মা-বাবা কেউ নেই। সবার অমতে নিজের পছন্দে তারেককে বিয়ে করে এক বছর আগে। আমরা এখনও মেনে নিইনি। রমনার নিউ ইস্কাটনে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতো সে। তার স্বামী মাঝেমধ্যে এখানে আসে। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগতো। আজ সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সে সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।”
লিপু আরও বলেন, “তার মা-ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। সে এ-লেভেলে শিক্ষার্থী ছিল। বাবা-মার এতিম মেয়েটাও এখন চলে গেল।”
নিহত সারার স্বামী তারেক বলেন, শনিবার রাতে সারার আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত ছিল। সেখানে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। রাতে আমারও এক আত্মীয়ের বাসায় বিয়ের দাওয়াত ছিল, সেজন্য আমি আসতে পারিনি। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। আমি আজ সকালে আমার ল্যাপটপ আনতে বাসায় যাই, তখন সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। আমি একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি করি। এ সময় আমি ল্যাপটপ নিয়ে অফিসে চলে যাই। পরে খবর পাই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর আমি ঢাকা মেডিকেলে ছুটে আসি।”
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রমনা থেকে এক তরুণীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।”
তবে এ ঘটনায় স্বামী তারেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। মরদেহটি ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।