দন্তচিকিৎসককে হত্যাকারীরা পেশাদার ছিনতাইকারী : ডিবি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ছুরিকাঘাতে দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যাকারীরা পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানায় ডিবি।

বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

সকালে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার মিরপুর বিভাগের বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো মো. রায়হান সোহেল (২৭), আপন (২৭), মো. রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), মো. আরিয়ান খান হৃদয় (২৩) ও  সোলায়মান (২৩)।

তাদের কাছ থেকে চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এরআগে ২৭ মার্চ ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় রায়হান সোহেল ও আপনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 

হাফিজ আক্তার বলেন, “২৭ মার্চ ভোর ৪টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত চারজনসহ মোট পাঁচজন মিরপুর মডেল থানাধীন পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণি এলাকায় ডাকাতির জন্য জড়ো হয়। তারা প্রত্যেকেই পেশাদার ছিনতাইকারী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “বুলবুল আহমেদ (৩৯) পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক এবং প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ব্যবসায়ী। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে নোয়াখালীতে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান তিনি। ২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালীর উদ্দেশে মিরপুরের আনন্দবাজার এলাকা থেকে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার জন্য রিকশায় রওয়ানা হন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বেগম রোকেয়া সরণির নাভানা ফার্নিচার শো-রুমের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তার রিকশা থামায়। পরে বুলবুলের কাছে থেকে স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে তিনি বাধা দেন। এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে ধারালো ছোরা দিয়ে তার ডান হাঁটুর ওপর আঘাত করে। এ সময় গুরুতর জখম করে মোবাইল ও টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিহঙ্গ বাসের চালক ও হেলপারের সহযোগিতায় বুলবুলকে প্রথমে স্থানীয় আল-হেলাল হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে উল্লেখ করে এ কে এম হাফিজ আক্তার আরও বলেন, “রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”