দেশে প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “দেশে দমবন্ধ করা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। আমরা কথা বলতে পারি না, নিঃশ্বাস নিতে পারিনা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি, লড়াই-সংগ্রাম করছি। লড়াই তখনই সফল হবে যখন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারব। তাদের জাগিয়ে তুলে রাস্তায় নিয়ে এসে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে পরাজিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে বসবাস করছে। মানুষের অধিকারটুকু ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। ভিন্নমত পোষণকারীদের দমন করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন মোড়কে গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তারা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নির্বাচনের কথা বলে যাচ্ছে তারা, নির্বাচনও করে, সে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে এখন ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন, তারা নির্বাচন করবে আবার দেখা যাবে জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।”
এছাড়া সামনে কঠিন সময় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় অন্যায় ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলার সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না সরকার।”
ফখরুল আরও বলেন, “আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য, দলে যাদের অবদান রয়েছে, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের জন্য রাষ্ট্রের জন্য তাদের বেশির ভাগকেই আমরা দল, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্মরণ করি না, দুই একজন ছাড়া। এখন তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে একজনকেই মনে করা হয়।”
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, শ্যামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।