রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ঢাকায় নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে তিনি এই পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, “এ সময় রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এই চমৎকার সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে এটি এখন কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি ব্যবসা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে।”
এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও তাদের জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে নিজ দেশে সসম্মানে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে টিকা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আরও মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রদূতদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে পিটার ডি হাস বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেনাবাহিনীর ব্যান্ডের দ্বারা সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং রাষ্ট্রদূত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।
এরপর মালদ্বীপের নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।”
রাষ্ট্রপ্রধান এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে আরও সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করার জন্য হাইকমিশনারকে পরামর্শ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
সূত্র : বাসস