১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৮:৩৬ পিএম

দেশে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও অন্যান্য কমিশনার গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দশজনের নামের তালিকা জমা দিয়েছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর সার্চ কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।

এর আগে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সার্চ কমিটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নামের তালিকা হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ দেবেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি বলেন, “খুব শিগগিরই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনারের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।”

এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শেষ বৈঠকে ১০ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

এদিকে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো আইন ছিল না এদেশে। অবশেষে চলতি সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনে উত্থাপনের পর বেশ কিছু সংশোধনী এনে পাস হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার গঠনে আইন।

এছাড়া আইন অনুসারে, আপিল বিভাগের বিচারকের নেতৃত্বে গঠন করা হয় সার্চ কমিটি। কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে রাজনৈতিক দল ও সমাজের সর্বোস্তর থেকে যোগ্য ব্যক্তির নাম চাওয়া হয়।

অন্যদিকে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্টজনদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি। দুদিনের সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।

এসব বৈঠকে সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ৩২২টি নাম প্রকাশ করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এছাড়াও আরও কয়েক দফা বৈঠকে নামের তালিকা সংক্ষিপ্ত করে কমিটি। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে শেষ বারের মতো বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে জানানো হয় চূড়ান্ত হয়েছে তালিকা।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটি গঠন করেন। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।

সাংবিধানিক জটিলতা না হলেও নুরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শূন্য রয়েছে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের পদ।