কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী আর নেই। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কবি-কন্যা সুমী সিকান্দার গণমাধ্যমকে তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুর আগে টানা তিন সপ্তাহ তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে কবি ও সংসদ সদস্য কাজী রোজীকে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাঁকে আইসোলেশন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সে সময় সুমী সিকান্দার জানিয়েছিলেন, তার মায়ের মস্তিষ্ক কাজ করছিল না, কিডনিতে ইনফেকশন; মাল্টি অর্গান প্রবলেমও ছিল।
কাজী রোজীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও এমএ পাস করেছেন।
২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেন। তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমাবস্থায় নির্বাচিত অপর ৪৭ জন সদস্যের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ‘সংসদ সদস্য’ পদে নির্বাচিত হন।
কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান।
কাজী রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো: পথঘাট মানুষের নাম (কাব্যগ্রন্থ), নষ্ট জোয়ার (কাব্যগ্রন্থ), আমার পিরানের কোনো মাপ নেই (কাব্যগ্রন্থ), লড়াই (কাব্যগ্রন্থ), শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনীগ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ : রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ)।