‘নিরপেক্ষ না খুঁজে সৎ ও সাহসী ব্যক্তি খুঁজতে হবে’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৭:৫৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

“আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রধানমন্ত্রীকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে- এমন সৎ ও সাহসী ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করেছি। তাকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে।” রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির একথা বলেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, “সার্চ কমিটির বৈঠকে বলেছি, নিরপেক্ষ না খুঁজে সাহসী ও সৎ খুঁজতে হবে। সময় লাগলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। আমাদের তালিকায় নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদেরও নাম রয়েছে।”

এর আগে বিকেল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে তৃতীয় ও শেষ বৈঠক শুরু হয়। 

এতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক অ্যাডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, প্রজন্ম ৭১-এর আসিফ মুনির, ডা. নুজহাত চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অর্থনীতিবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ। 

বৈঠকের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বিকেল ৫টার মধ্যে নামের তালিকা জমা দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সার্চ কমিটিতে আসা প্রত্যেকের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। 

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার কথা। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। 

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করার পর সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।