বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া যেসব লেনদেনে আইনি জটিলতা আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।”
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সকালে প্রথমে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সভা হয়।
এরপর সভা শেষে দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ইউবিআইডি) উদ্বোধন করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ই-কমার্স গ্রাহকদের যে টাকা আটকে আছে, সে টাকা দেওয়া শুরু করেছি। এর মধ্যেও অনেক আইনি জটিলতা আছে। আমি ঠিক বলতে পারি না অমুক তারিখে এটি দেওয়া শেষ হবে। আমরা শুরু করেছি, যেটাই আইনি জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসবে, সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হবে।”
এ সময় কী পরিমাণ টাকা আটকে আছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা আমরা বের করেছি এবং ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার প্রসিডিউরে কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করে আমরা দিয়ে দেব। এটা একটা কোম্পানি। আরও বিভিন্ন কোম্পানি আছে।”
এদিকে ইউবিআইডি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, “এ আইডি উদ্বোধনের ফলে ই-কমার্সের প্রতি গ্রাহকদের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এছাড়া বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, পুলিশের সিআইডি, এসবি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তরসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিক বিজনেস আইডি উদ্বোধনকালে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে সনদপত্র দেওয়া হয়।