বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী।
তবে তার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও অদূর ভবিষ্যতে রক্তক্ষরণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে মেডিক্যাল বোর্ড।
পরে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে দীর্ঘ প্রায় ৮১ দিন পর রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দ্যেশে গাড়িতে করে রওনা হন তিনি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দিয়েছে চিকিৎসকরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তিনি পুরোপরি আশঙ্কামুক্ত নন। ভবিষ্যতে তার রক্তক্ষরণের আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্যঝুকিঁর কথা বিবেচনা করে তাকে বাসায় রেখে মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলবে।
ডা. ফখরুদ্দীন আরও জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অনেকেই করোনা আক্রান্ত। সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেলে অথবা তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কেউ আক্রান্ত হলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জটিল হতে পারে। তাই ঝুঁকি বিবেচনায় তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসময় মেডিকেল বোর্ডের আরেক চিকিৎসক প্রফেসর এস এম আরেফিন বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যতদূর সম্ভব সেবা দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তবে, তার সামগ্রিক চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিদেশি চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৩ নভেম্বর তার বাসভবন ফিরোজায় রক্তবমির পরপরই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভার কেয়ারের চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে।
২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেলেও চতুর্থবারের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
এর আগে ৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিকস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ সবশেষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন।