অর্থ পাচার করেছেন ইভ্যালির রাসেল, সন্দেহ বোর্ডের 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম
ছবি: সংবাদ প্রকাশ

ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুটি লকার আজ (সোমবার) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভাঙা হয়েছে। ওই দুই লকারে অনেকগুলো চেক মিললেও মোটা অঙ্কের কোনো অর্থ মেলেনি।

এদিকে ইভ্যালি পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বোর্ড সন্দেহ করছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল বিদেশে টাকা পাচার করে থাকতে পারেন।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে ধানমন্ডির ইভ্যালি প্রধান কার্যালয়ে লকার ভাঙার পর বোর্ড চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। 

বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “এখন পর্যন্ত ইভ্যালির যত কাগজ আমরা পর্যালোচনা করেছি, আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান যে বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে থাকতে পারে। তবে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তদন্ত করছে। পরে নিশ্চিত হয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।”

সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, তিনি (মোহাম্মদ রাসেল) ও তার স্ত্রী প্রতি মাসেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতেন। বিশেষ করে দুবাই যেতেন। এসব খতিয়ে দেখছি। গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এমন নয় যে কালকে চাইলেই আমরা গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে পারব।”

এর আগে ইভ্যালির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানের সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে তাদের ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
 
তারা পাসওয়ার্ড বা কম্বিনেশন নম্বর না দেওয়ায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রথমে ভাঙা হয় একটি লকার।

দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আসেন আদালত কর্তৃক মনোনীত পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ অন্যরা।