যা পাওয়া গেল ইভ্যালির দ্বিতীয় লকারে 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৭:০৯ পিএম
ছবি: সংবাদ প্রকাশ

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দ্বিতীয় লকারেও মিলেছে কয়েকটি ব্যাংকের ইস্যুকৃত অসংখ্য চেক বই। এছাড়া নগদ দুই হাজার ৫৩০ টাকা পাওয়া গেছে। আর চেকগুলোতে সই রয়েছে ইভ্যালির শীর্ষ কর্মকর্তাদের।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ধানমন্ডির ইভ্যালি অফিসের নিচতলায় দ্বিতীয় লকারটি কাটা হয়। এতে ট্রেড গাইডলাইন বুক, ইভ্যালির খামে রাখা খালি ভাউচারসহ অপ্রয়োজনীয় নানা কাগজও পাওয়া যায়।

ইভ্যালির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানের সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে তাদের ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

তারা পাসওয়ার্ড বা কম্বিনেশন নম্বর না দেওয়ায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রথমে ভাঙা হয় একটি লকার।

দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আসেন আদালত কর্তৃক মনোনীত পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ অন্যরা।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ইলেকট্রিক কাটার দিয়ে লকার কাটার কাজ শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত। এছাড়া ধানমন্ডি থানার একটি দলও উপস্থিত ছিল।

বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে একটি লকার কাটা শেষ হয়। তাতে সিটি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের শতাধিক চেকবই পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফাইলে কিছু নথিপত্রও দেখা গেছে।

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্টানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে দেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ইভ্যালি।

এছাড়া এশিয়ার মধ্যে স্বল্প সময়ে দ্রুতবর্ধনশীল ই-কমার্স স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও বিজনেস লিডার হিসেবে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন মোহাম্মদ রাসেল।

মোটরসাইকেল, গাড়ি, মোবাইল, ঘরের সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্রের মতো উচ্চমূল্যের পণ্যে লোভনীয় ছাড় দেয় ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে সাইক্লোন, আর্থকোয়াক ইত্যাদি নামে তারা ক্রেতাদের ১০০ শতাংশ ও ১৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাকের মতো লোভনীয় অফার দেয়। ইভ্যালির ব্যবসার এ কৌশলের ফলে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়।