টিকা পেয়েছেন ১৪ কোটি ৬১ লাখ মানুষ : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৩:২৭ পিএম

দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৯১ লাখের বেশি মানুষ করোনার প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এছাড়া ৫ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ও সাত লাখ মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রমের আওতায় গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।”

এছাড়া বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।”

সরকারপ্রধান বলেন, “বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার আগে থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তারই ফল হিসেবে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে কোভিড টিকা বিনা মূল্যে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং যা অব্যাহত রয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “সারা বিশ্বের মতো দেশের কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় টিকাদান প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ-নিটাগ) সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাস্তবায়নসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে দেশব্যাপী গত ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।”

এদিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর যাদের ছয় মাস অতিক্রম হয়েছে, তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।