পুলিশের কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই বিদেশি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২, ০৫:১০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবের সামনে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের উদ্দেশ্যে টাকা ছুড়ে মারার ঘটনায় ওই চীনা নাগরিক প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

এছাড়া প্রাথমিকভাবে সার্জেন্টের কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই চীনা নাগরিক বিনা কারণে মেজাজ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। 

এরই মধ্যে চীনা নাগরিকের গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ। তার বক্তব্যেও কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও অন্য ট্রাফিক সদস্যদের কোনো দোষ পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ওই চীনা নাগরিককে ডাকা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাহেদ আল মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাহেদ আল মাসুদ বলেন, “ঘটনার পর এ বিষয়ে আমরা ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি জিডি করেছি। সেদিন কী ঘটেছিল, তা জানতে আমরা তদন্ত করছি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানতে পেরেছি, ওই চীনা নাগরিক সিএলএক্স নামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ঘটনার দিন তিনি একটি প্রাইভেটকারে করে অফিসে যাচ্ছিলেন। পরে রাওয়া ক্লাবের সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তার গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। চালক কাগজ দেওয়ার পর সার্জেন্ট তা পরীক্ষা করে দেখছিলেন। এর মধ্যেই ওই চীনা বিনা কারণে গাড়ি থেকে নেমে উত্তেজিত হয়ে মেজাজ হারিয়ে টাকা ছুড়ে মারেন ও অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন।”

এ ঘটনার তদন্ত চলমান জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত কর্তব্যরত ট্রাফিক সদস্যের কোনো ধরনের গাফিলতি বা অপরাধ পাইনি, তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের কাজ করছিল। ওই চীনা নাগরিক কেন বিনা কারণে উত্তেজিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে তাকেও আমরা ডেকে পাঠিয়েছি।”

এদিকে ডিএমপির কাফরুল থানায় হওয়া জিডির তদন্ত করছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্যামল কুমার হালদার। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তবে প্রাথমিক তদন্তে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের কোনো দোষ আমরা পাইনি।”

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাওয়া ক্লাবের সামনে এক বিদেশি নাগরিক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে টাকা ছুড়ে মারার ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল ভিডিওতে টাকা ছুড়ে মারার সময় ওই চীনা নাগরিক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের উদ্দেশে বলেন ‘ইউ ওয়ান্ট মানি, আই গিভ ইউ দিস’। এছাড়া তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিতেও শোনা যায়।