চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কাজী আনোয়ার 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম
ফাইল ছবি

পাঠকনন্দিত থ্রিলার সিরিজ ‘মাসুদ রানা’র লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাদ আসর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সেগুনবাগিচা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তার জানাজা।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মারা যান কাজী আনোয়ার হোসেন। এরপর থেকে তার মরদেহ ফ্রিজিং ভ্যানে করে কাকরাইলের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল দশটায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার সেগুনবাগিচার বাসভবনে।

কাজী আনোয়ার হোসেনের বাসভবনেই অবস্থিত সেবা প্রকাশনী। যার মাধ্যমে ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশে পাঠক সৃষ্টির এক অনন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। তার অনন্ত যাত্রার পর্বও শুরু হয় এ স্থান থেকে। শেষবারের মতো কাজী আনোয়ার হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে তার মরদেহ আনার পর পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে এলাকাবাসী, পাঠক-ভক্তরা সেখানে ভিড় জমান।

কাজী আনোয়ার হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তার শ্যালিকা ও বিশিষ্ট শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যান।

পরিবারের সদস্যরা জানান, নিজের সৃষ্টি মাসুদ রানার মতোই ‘মহামানব’ ছিলেন তিনি। দেশের কিশোর, তরুণদের বইমুখী করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সেবা প্রকাশনীর রহস্যপত্রিকা, মাসুদ রানা, ওয়েস্টার্ন, হরর গল্প আর তিন গোয়েন্দা সিরিজ।

কাজী আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই। তার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাকনাম ‘নবাব’। তার পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। তিনি ছিলেন একাধারে লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক। জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা তিনি। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। 

এর আগে ‘কুয়াশা’ নামক আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র তার হাতেই জন্ম নিয়েছিলো। কুয়াশা চরিত্রটি নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন প্রায় ৭৬টির মতো কাহিনি রচনা করেছেন। কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব নাম ব্যবহার করতেন।