আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এজন্য যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া বাড়ানো হবে না। গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তবে বাসে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বাস ভাড়া আবারো বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছেন পরিবহন মালিকরা।
পরিবহন মালিকদের কয়েকটি সংগঠন সূত্রে বুধবার (১২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় বনানীতে আজ দুপুরের পর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি বৈঠক শুরু করেছে বিআরটিএ। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে। বাস ভাড়া বাড়ানো হবে কি না বা বাড়ালে কত বাড়ানো হবে, এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “সরকার ভর্তুকি না দিলে আমরা বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করলে আমাদের লোকসান হবে। তাই হয় বাস ভাড়া বাড়াতে হবে না হলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।”
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা সহজেই দেওয়া যায়, কিন্তু বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। বাসে যাত্রীরা অনেক সময় নিয়মনীতি না মেনে উঠে পড়েন আবার তাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করা যাবে না- মহা মুশকিলের পরিস্থিতি তৈরি হবে। বৈঠকে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা করব।”
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, “আমরা জনস্বার্থ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। আমরা বৈঠকে বসব, কথা বলব, তারপর সিদ্ধান্ত হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস ও মিনিবাসসহ সড়কে গণপরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরের শুরুতে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল প্রায় ২৮ শতাংশ। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।
এছাড়া ২০২০ সালে বিধিনিষেধ চলাকালে প্রথম দফায় ৬৮ দিন বাসসহ সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।