পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আগামী ১ জানুয়ারি (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
ইতিমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের স্টলকে আকর্ষণীয় ও নান্দনিক করে গড়ে তোলার জন্য নানাভাবে সাজাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে চলছে মেলার স্টল আর প্যাভেলিয়ন বানানোর কাজ।
মেলায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের মেলার প্রেক্ষাপট অন্য বছরের তুলনায় ভিন্ন। প্রতিবছর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা হয়। গত বছর করোনার কারণে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার নতুন ঠিকানায় ভিন্ন রূপে হবে বাণিজ্য মেলা।
এ বিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক কর্মকর্তা জানান, মেলা কেন্দ্রের লে-আউটে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টল সংখ্যা কমিয়ে ভেতরে-বাইরে মিলে সর্বমোট ২২৫টি স্টল করা হয়েছে। ধারণক্ষমতার ডাবলের বেশি থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিশেষ বিবেচনায় রেখে ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে।
ইপিবির ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভেতরে ও বাইরে মিলিয়ে সাতশ দোকান বানানো সম্ভব ছিল, সেখানে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ সব মিলিয়ে ২২৫টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন বানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব এবং মানুষের চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখা হয়েছে।
এছাড়া ওয়ালটন, প্রাণসহ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় তাদের স্টল নিয়েছে। ভেতরে ২৪টি প্রিমিয়াম স্টল করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের বাইরে অবকাঠামোগত ক্ষতি না করে প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাজাতে চায় সেভাবেই সাজাতে পারছে বলেও জানান তিনি।
ইপিবির সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, “মেলা প্রাঙ্গণে ২২৫টি দেশি-বিদেশি স্টল থাকছে। এর মধ্যে ভেতরে ১৫৪টি এবং বাইরে ৭১টি স্টল। এসব স্টলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, যথাসময়ে কোম্পানিগুলো তাদের স্টলের কাজ শেষ করে পণ্য ডিসপ্লে করতে পারবেন।”
এদিকে বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে পূর্বাচলের তিনশ ফুট রাস্তা মেরামতের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এর আগে দীর্ঘদিন ধরে পূর্বাচল (তিনশ ফিট) রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। এছাড়া রাস্তা মেরামতের পাশাপাশি মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্বল্প ভাড়ায় বিআরটিসি বাস নিয়মিত কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত যাতায়াত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।