সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট পিটিশনের বিষয়ে কোনো আদেশ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় সংসদের স্পিকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বেঞ্চে আবেদনটি ‘স্ট্যান্ড ওভার’ (শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ) রাখা হয়।
তারা বলেছেন, যেকোনো ব্যক্তি মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ চ্যালেঞ্জ করে সংসদের স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। রিট আবেদনটি এই পর্যায়ে অপরিপক্ব।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার এক দিন পর গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে আবেদনটি জমা দেন। আবেদনে বলা হয়, মুরাদ অশ্লীল মন্তব্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে তার শপথ লঙ্ঘন করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।