সারা দেশে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও সাধারণ ছুটি থাকছে না। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী কার্যক্রম চলবে। শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)
একইসঙ্গে ভোটের এলাকায় চালু থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মরত ভোটারদের ভোটদানের সুযোগ পাবে।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
উপ-সচিব বলেন, “গ্রাম পর্যায়ে তেমন অফিসিয়াল কার্যক্রম নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই বেশি। তাই সাধারণ ছুটি থাকছে না।”
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৪২টি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের শূন্য পদের উপনির্বাচন ও বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের শূন্য পদের উপনির্বাচন উপলক্ষে ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে সময়সূচি ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটির প্রয়োজন হবে না।
তবে নির্বাচনী এলাকাধীন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার বা নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাধীন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব অফিস/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, “চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোট ২৯৫ জন প্রার্থী। এর
মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৪৮ জন প্রার্থী। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১৩৫ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।”
এদিকে এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৮১৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯৫১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩০১০৬ জন প্রার্থী ভোটের লড়াই করবেন।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে চতুর্থ ধাপে ১৬টি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সংখ্যা তিন-চতুর্থাংশ।
এছাড়াও পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ আগামী ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।