বিশ্বের দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে সম্মেলনে ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মোমেন বলেন, “তাই সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। তবে এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নাই। এটা তাদের দায় দায়িত্ব।”
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ বিশ্বের যেসব দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ডাক দিয়েছে। তারা দুই পর্বে করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশ যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল তাদের নিয়ে। আমাদের বাদ দিয়েছে সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে।”
আমেরিকা গণতন্ত্র নিয়ে ঝামেলায় পড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “২৫০ বছরের পুরনো গণতন্ত্র, কয়েকদিন আগে দেখলেন তো কী অবস্থা? তারা যে গণতন্ত্র সম্মেলন করছে, এটা নিয়ে খোদ তাদের দেশেই প্রশ্ন আসছে।”
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের থেকে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমার গণতন্ত্র আমাদের লোকদের ওপর। অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ একটি গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে সুযোগ পাচ্ছে।”
এ ছাড়া মোমেন বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো, অনেক লোককে ভোট দিতে দিল না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো। আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর বলেও জানান তিনি।
এদিকে আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভার্চুয়াল গণতন্ত্র সম্মেলনের আহ্বান করেছেন। বিশ্বের ১১০টি দেশকে এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে বাংলাদেশকে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানো হলেও দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।