দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা। এতদিন দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। এ রেকর্ড দাম নির্ধারণ করার একদিন পর অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। এখন আবার দাম বাড়ানো হলো। এতে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে সোনা।
এদিকে বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বড় উত্থানের পর বড় দরপতন, এরপর আবার বড় উত্থান। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পালটাপালটি শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটছে। এতে বিশ্ববাজারে প্রথমবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্প প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন এমন আশঙ্কায় কয়েক দফায় বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে মার্চের শেষ দিকে প্রথমবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে ট্রাম্প শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে সোনার দামের বড় পতন হয়।
এরপর চীন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পালটা শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের ওপর শুল্ক আরও বাড়ায়। দুই দেশের এ শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে আবারও হু হু করে বাড়ে স্বর্ণের দাম। এতে গত সপ্তাহে প্রথমবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার স্পর্শ করে। তবে এরপর বিশ্ববাজারে সোনার দাম কিছুটা কমতে দেখা যায়।