জুলাই আন্দোলনে নরসিংদীতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ায় জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
এরমধ্য দিয়ে প্রথম কোনো বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে জুলাই আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হলো।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) নরসিংদীর গণহত্যার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাজুল ইসলাম জানান, গুলির নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীতে শহীদ হন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ ভূইয়া। পুলিশের গুলিতে তাহমিদ নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। পরে মরদেহ নিয়ে মিছিল করতে গলে আবারও গুলি ছোড়া হয়। এতে আরও একজন নিহত হন। জুলাই আন্দোলনে শুধু এই জেলাতেই শহীদ হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পাশাপাশি হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
[113632]
অন্যদিকে অনির্বান চৌধুরী ৩০তম বিসিএসের (পুলিশ ক্যাডার) মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নরসিংদী জেলা পুলিশে যোগ দেন। গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রাঙামাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।