প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের সেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। শিশুটির অবস্থা দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদরোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ ও থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকরা।”
এর আগে ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে হাসপাতালে যান শিশুটির মা। ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
[112147]
রোববার (৯ মার্চ) শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।