সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন।
ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকেল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ইসকনের সাবেক নেতা।
ইসকনের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, “শুনেছি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বিমানবন্দর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে কারা নিয়েছে সে বিষয়ে আমরা স্পষ্ট না।”
তিনি আরও বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত জুলাইয়ে ইসকন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলাটি করা হয়। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ অগাস্ট গণঅভুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা নিউমার্কেট মোড়ে একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। গত ২৫ অক্টোবর লালদিঘী মোড়ে সমাবেশের দিন ওই পতাকার ওপর সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে স্থাপন করে দেওয়া হয়, যা রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে অস্বীকার করার সামিল।
এজাহারে আরও বলা হয়, জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় পাতাকা উত্তোলন করে আসামিরা দেশের ভেতর অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর করার রাষ্ট্রদোহ কাজে লিপ্ত আছে।