মূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। এ সময় রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ স্থানীয়রা তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে রেলগেটসহ সড়ক আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন রিকশাচালকেরা। এতে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রেল রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশাচালকদের অবরোধে সোয়া ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন রেলযাত্রীরা।
এর আগে গত সোমবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করে। এ সময় আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
আন্দোলন চলাকালে সম্প্রতি ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই ট্রেনের নারী-শিশুসহ অনেক যাত্রী আহত হন।
কমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে রিকশাচালকদের অবরোধে জুরাইন রেল স্টেশনে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার আটকে যায়। খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন আটকে আছে কমলাপুরের শহরতলি স্টেশনে।
শ্যামপুর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা জুরাইন এলাকায় রেললাইন দখল করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।