গ্রিনসিটি খ্যাত রাজশাহী মহানগরীতে ২০১০ সালে প্রথম ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় অটোরিকশা চলাচলের অনুমোদন দেন তৎকালীন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের আনাচে কানাচে। রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে ধীরে ধীরে অটোরিকশা ছেয়ে যায় থানা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত।
তবে সারা দেশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যাকত, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের কোনো দপ্তরে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য অবৈধ তিন চাকার যানবাহনেরও প্রকৃত হিসাব নেই সরকারের কাছে। তবে বিভিন্ন সংস্থার জরিপে এসব যানবাহনের সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
সূত্রমতে, ২০১০ সালের দিকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একাধিক বৈঠকে সারা দেশে তিন চাকার অবৈধ যানের সংখ্যা ১০ লাখের মতো বলে উল্লেখ করা হয়। তবে বিআরটিএ, যাত্রী অধিকার সংগঠন, পুলিশ ও অন্যান্য অংশীজনের হিসাবে, ব্যাটারি ও যন্ত্রচালিত তিন চাকার অবৈধ যানবাহন বর্তমানে ৬০ লাখের বেশি।
এর মধ্যে রাজধানীর বাইরে রয়েছে ৫০ লাখের মতো। আর ঢাকায় অটোরিকশার সংখ্যা ১০ লাখের মতো। তবে কেউ কেউ মনে করেন, রাজধানীতে ব্যাটারি ও যন্ত্রচালিত রিকশার সংখ্যা ১৫ লাখের কম হবে না। বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নানা সময়ে অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা কত, তা জানা নেই সরকারের কোনো দপ্তরের।
চলতি বছরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ঢাকায় আগস্টের পর থেকে অটোরিকশা বেড়েছে ৪ লাখ। রাজধানীর সড়কের প্রতি বর্গকিলোমিটারে অন্তত ২ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। বুয়েটের একটি গবেষণা বলছে, ঢাকায় ১৮ ধরনের যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটারিচালিত রিকশা।