শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে সিগারেট বিক্রি বন্ধের দাবি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১, ০৫:০১ পিএম

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধের আইন কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট। 

বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এ সময় আরও তিনটি সংগঠনের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন, “সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ (১) এবং স্থানীয় সরকারের (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ তফসিল ১ ও ৫ অনুসারে, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় এনে বিক্রয় সীমিতকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ গাইডলাইন বাতিলের জন্য তামাক কোম্পানিগুলো মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের প্রধানতম টার্গেট শিশু-কিশোর-যুবক। এদের সিগারেটের নেশা ধরিয়ে দিতে পারলেই কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরি হয়ে যায়। এজন্য তামাক কোম্পানিগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে সিগারেট বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।” 

তারা আরও বলেন, “স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর থাকলে তামাক কোম্পানিগুলোর প্রধান ভোক্তা তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে। লাইসেন্স ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে একটি এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি সীমিত করা সম্ভব হবে। তামাক কোম্পানিগুলো নীতিনির্ধারকদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তারা করে থাকে। এসব কোম্পানি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করছে প্রতিনিয়ত।”

এ সময় জোটের উপদেষ্টা আবু নাসের খান বলেন, “সিগারেট একটি তামাকজাত দ্রব্য। এর কারণেই ক্যানসার বেশি হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এ রোগের ওষুধ বিক্রি করছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো বড় মুনাফা অর্জনকারী। এসব কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তামাক কোম্পানিগুলো এক হয়ে চাইছে না তামাকজাত দ্রব্য বন্ধ হোক।” 

এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও  স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পাশে তামাক বিক্রি বন্ধের দাবি জানান তারা। এ ছাড়া মানববন্ধনে তামাকবিরোধী জোটের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।