বই আলোচনা

নারীর সংগ্রামী জীবনের আখ্যান ‘বিয়োগরেখা’

লাবণী মণ্ডল প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
সাদিয়া সুলতানার উপন্যাস ‘বিয়োগরেখা’

কথাসাহিত্যিক সাদিয়া সুলতানার উপন্যাস ‘বিয়োগরেখা’। বিয়োগের আভিধানিক অর্থ বিরহ, বিচ্ছেদ, অভাব; আর রেখা, যার অসীম দৈর্ঘ্য, কিন্তু প্রস্থ, বেধ বা উচ্চতা নেই। ‘বিয়োগরেখা’ এমন এক গ্রন্থ যেখানে বিরহ, বিচ্ছেদের যন্ত্রণার কোনো মাপকাঠি নেই। মাঝ বরাবর লাইন টেনে দিয়ে এর পরিসমাপ্তি ঘটানো যায় না, এজন্য দরকার সামগ্রিক পরিবর্তন। মানুষের মানসিকতা, ব্যবস্থাপনা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। 


সমাজ-রাষ্ট্র যেভাবে বহে যায়, তার প্রভাবই জনগোষ্ঠীর উপর পড়ে। ভোগতান্ত্রিক, পুরুষতান্ত্রিক, পুঁজিতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় শ্রেণিকরণ বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিত্ত নির্ধারণ হয়ে পড়ে জরুরি। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত। এই বিত্তকরণের বেড়াজাল থেকে মুক্ত নয় কোনো মানুষ। যেখানে হারায় মানবতা, সহনশীলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। 


একজন লেখক যখন লিখেন, তখন তার লেখনিতে কোনো না কোনোভাবে নিজস্ব দর্শন প্রকাশ পায়। নিজেকে একজন দৃশ্যশিল্পী হিসেবে দাঁড় করায়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মানুষ তার ভেতরের আয়নাকে বারবার পরখ করে নেয়। নিজের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠে, সমাজের খেদগুলো কলমের খোঁচায় তুলে ধরে। 
‘বিয়োগরেখা’ উপন্যাসটি যখন পড়া শুরু করি, তখন নিজের দিকে ফিরে তাকাই। আমার শৈশব-কৈশোর, বাড়ন্ত বয়স– এর সঙ্গে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং পরিবারের দর্শন। কেমন ছিল সেই সময়টা। প্রথম শারীরিক পরিবর্তন, মনের ভেতর প্রেমানাভূতি– পরিবারের দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, বেদনা। মানুষ যে কোনো সৃষ্টির মধ্যে তার যাপিত জীবনকে খুঁজে ফেরে। সিনেমা, নাটক, গল্প বা উপন্যাস– যা-ই হোক না কেন। আর যখন নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায়, তখনই আনন্দে উদ্বেলিত হয়, কষ্টে কান্না করে। 


ইলোরা গ্রন্থের একটি চরিত্র। তাঁর মা নীলুফা। তিনি ইলোরাকে মাপেন সমাজের কুৎসিত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। সমাজবহির্ভূত চিন্তা করা যায় না, সমাজের ভেতর যে কুৎসিত মানসিকতা তার মধ্য দিয়ে ইলোরার উচ্ছ্বল, চপল, চঞ্চল মনকে বিমর্ষ করে তোলে। 


ইলোরা এসবকে প্রশ্রয় দেয় না। নিজের কিশোরী, চপলা মন নিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে চায়। উড়ে বেড়ায়– বেড়াতে চায়। যেখানে শত-সহস্র বাধা রয়েছে। নিজের নির্ঘুম রাত নিয়ে ভেবে অস্থির হওয়ার মতো বোকা সে নয়, তবে নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে ভাবতে থাকে– যদি নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারতাম। ভাবনার অতল সাগরে হারিয়ে যায়। যে ইলোরা স্কুল-কলেজে ক্লাস রুমে বসে ঘুমিয়ে যেত। সে এখন নির্ঘুম রাত কাটায়। ঘুমহীন রাজ্যে বাস করে। ভোর হওয়ার জন্য প্রবলভাবে অপেক্ষা করে। 


ভাবতে থাকে মেঘের রাজ্যে ভাসার দৃশ্য। মেঘের ভেলার সঙ্গে হারিয়ে যায়। সোনারোদ। যেখানে ওর তুলতুলে কোমল ডানাজোড়া ভেঙে যাবে। একজন নারীর যন্ত্রণা এতটা শৈল্পিকভাবে ফুটিয়ে তোলা সত্যিই অভাবনীয়। ইলোরার পিরিয়ডকালীন ব্যথা, যে ব্যথার সঙ্গে আমাদের নিত্য বসবাস। রয়েছে নানান কোণঠাসা, অবমাননা এবং উপেক্ষা। বই থেকে– ‘ঘুম ভেঙে ইলোরা দেখেছে ওর ডানাজোড়া ভাঙা, পালক রক্তে ভেজা! দুই কাঁধজুড়ে প্রচণ্ড ব্যথা। কাঁধ গড়িয়ে হাত, পেট, নাভীমূল, তলপেট বেয়ে চাপ চাপ সেই ব্যথা দুই উরুর ভাঁজে এসে ঠেকেছে। এরপর উড়বার ভার সইতে না পেরে পাথর মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে শরীর। আহা, ওর আর ওড়ার সাধ্য নেই!’ 


কেন নেই ওড়ার সাধ্য– পিরিয়ডের সময় চলে এসেছে। বিচ্ছিরি ব্যথা। ব্যথার সঙ্গে নিজের মেজাজের সম্মিলন ঘটে। যেটি অল্পতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ধৈর্য হারায়। পাগলপ্রায় হয়ে যায়। নারীর এ দহন তীব্রভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। 


মায়ের বকুনি। এই ব্যথা-যন্ত্রণার দায় যেন ওদেরই। মা নীলিফা এসব নিয়ে রাতদিন বকতে থাকে। যে বকায় সমাজবাস্তবতা পরিস্ফুট হয়। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটে। ইলোরা রেগে যায়। রাগে-কষ্টে-দুঃখে-অনুতাপে প্রায়ই মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এ তো আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের নিত্যদিনের ঘটনা। কেউ মেনে নেয়, কেউ প্রতিবাদ করে। ইলোরা ভাঙতে চেয়েছে সমাজের এই একচোখা বিচারব্যবস্থাকে। যেখানে সব অন্যায়-অবিচারের দায় নারীকেই পোহাতে হয়, সেখানে ইলোরা এক দৃঢ় হাতিয়ার। 
নারীর শরীর মানেই যেন এক দলা মাংসপিণ্ড; যেখানে আত্মবিশ্বাস-আত্মসম্মানবোধ থাকাটা নিখাদ বোকামি! পরিবারের সবচেয়ে আপন নারী, তার মেয়েকে ঘৃণামিশ্রিত কোনো নোংরা গালি দিতে ভোলেন না ইলোরার মা। কারণ মেয়ের যে কোনো দোষত্রুটি বা দৃঢ়তার দায় মাকেই নিতে হয়। এখানে ব্যক্তির চেয়ে সমাজের দায়টাই মুখ্য।


বয়স বাড়ে। পরিতাপও বাড়ে। মায়ের ভেতরের খেদের ভার বহন করে ইলোরা। এমনিতে নারীদের অবস্থা সমাজে খুবই নাজুক। এর মধ্যে যদি তার ভেতর তেজস্বীতা থাকে, সমাজের কলুষতা মেনে না নেওয়ার মানসিকতা থাকে– তাহলে পরিবারে তার টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়ে। যে পরিবার সমাজেরই ধারক-বাহক। সাবলীলভাবে সে বাস্তবতা উপন্যাসের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। 


মা চায় কন্যাকে বিয়ে নামক শেকলে বন্দী করতে। যে শেকলে বাঁধায় অনেক যন্ত্রণা থাকে, না-পাওয়ার দহন থাকে। তবুও কেমন শেকলমুক্ত অনুভূতি তৈরি হয়। এই চাওয়া থেকেই ইলোরাকে বিয়ে দেয়। যা আরো দ্বিগুণ পরিতাপের হয়ে উঠে। নীলুফারও তো একা লাগে। সঙ্গীহীন। একাকীত্ব। শরীর-মন উভয়ই চায় সঙ্গীর ছোঁয়া। কিন্তু সমাজের ভয়ে চাপা দুঃখ বয়ে বেড়ায়। মানুষ তো মানুষের কাছেই ফিরে। দম ফেলতে চায়, আগলে ধরতে চায়। একটা মানুষ তো লাগে– জায়গা লাগে। বুকের কম্পনে কম্পন মেলানোর মতো সুন্দর অনুভূতি তৈরি হয়। কিন্তু সমাজবাস্তবতা বিধবা নারীদের জন্য অনুকূলে নয়। নিজেকে সামলায়, খেই হারায়– যে সামলানোর বোঝা ইলোরার মানসিক পরিস্থিতিকে আঘাত করে।


ইলোরার জীবনে আসে রাসেল। পুরুষতান্ত্রিকতার সব বৈশিষ্ট্য তার ভেতরে বিদ্যমান। আছে লাম্পট্য। দুশ্চরিত্র। তবুও রাসেলের কথা প্রাধান্য পায় শাশুড়ি নীলুফা বেগমের কাছে। ইলোরার জীবনে ঘন অন্ধকার হয়ে আসে বিবাহ বিচ্ছেদ। এর সব দায়ভার বর্তায় নারীর ঘাড়ে। ব্যক্তিস্বাধীনতা, আত্মসম্মানবোধ, স্বাধীনতা এসব কথা খাতা-কলমে লিপিবদ্ধ থাকে। বাস্তবিক জীবনে নারীর অবস্থা ইলোরাদের চেয়েও অনেক জটিল। যে জটিল অঙ্ক কষতে হলে সমাজের ভেতরের ঝঞ্ঝাটিকে নিখুঁতভাবে দেখতে হয়। 


সমাজ-সংসারের প্রতি অবিশ্বাস জন্ম নেয় ব্যবস্থাপনার কারণে। মানুষ প্রতিনিয়ত ঠকে– পরিবার ঠকায়, সমাজ চতুরতা করে এবং সংসারের তাপ-পরিতাপে বিদঘুটে পরিস্থিতি দাঁড়ায়। যে কারণে নানান অস্বচ্ছতাকে সঙ্গী করে পথ হাঁটতে হয়। নারী তার অনিশ্চিত ভবিষ্যতে অস্বচ্ছ পথকে বেছে নেয়– চেতনে-অবচেতনে। যেখানে ন্যায়ের জন্য লড়ার কথা, সেখানে মাথা পেতে নেয়। ভয়-শঙ্কা-আশঙ্কা পেয়ে বসে। পুরুষ-পুঁজিতে সম্মিলন ঘটে, নারীর অবস্থান অপরিপক্ব হয়। 


ইলোরার চাকরি। বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তা। সেখানে সহস্র বাধা। বিদেশে যাওয়া মানে নষ্ট পথে পা বাড়ানো। মায়ের সামনে এসব কথার ছড়াছড়ি। ইলোরার ক্ষিপ্র চেহারা। অপরদিকে মকবুল, রাসেল, ইকতেদার, জাফর, হামিদুল, নাসির পুরুষতান্ত্রিক-ভোগতান্ত্রিক সমাজের চাক্ষুষ রূপ। 


লোভাতুর দৃষ্টিতে নারীকে ভোগ করার যে মানসিকতা সমাজে বহমান তারই রূপ ফুটে ওঠেছে উপন্যাস ‘বিয়োগরেখা’য়। নিখাদ গাঁথুনি; হৃদয়ে কাঁটা দেওয়ার মতো বাক্যচয়ন; শব্দের বন্ধনে মায়ার খেলা। বাক্যের পরতে পরতে সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতি তীব্র ঘৃণা; আবার ভালোবাসা-সাম্যের প্রত্যাশা। এ যেন হৃদয়হীন পৃথিবীতে হৃদয়ের প্রবল মমতায় আটকে যাওয়ার স্থিরচিত্র।  


সমাজ-রাষ্ট্র-পরিবার মিলে নেমেছে ইলোরার বিয়ের চিন্তা নিয়ে। ডিভোর্সি নারীর বিয়ে কী মুখের কথা! আর ইলোরার মতো নারীকে এ সমাজ দেখে কুৎসিত দৃষ্টিতে। দৃঢ়চিত্তের যেকোনো নারীই পরিবার-সমাজের দৃষ্টিতে বেহায়া, নিলর্জ্জ। ইলোরার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইলোরা তাকে অভিশপ্ত করে রেখেছে। এসব কথা বলতে গিয়ে চেহারায় ভেসে উঠে অভিমানের সুর। না-পাওয়ার যন্ত্রণা তো তারও রয়েছে। অল্পবয়সে স্বামী হারিয়ে মেয়ের একাকী জীবন তাকে বিষিয়ে তুলেছে।


নারীর কষ্টে প্রকৃতি কাঁদে। পাখির কোলাহল থেমে যায়। কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়া বিষাদ লাগে। আকাশের শেষ আলোটুকুও নিভে যায়, তবুও ইলোরাদের জীবনে পরিবর্তন আসে না। আলো প্রস্ফুটিত হয় না কারণ সম্মিলিত কোনো উদ্যোগ নেই, প্রচেষ্টা নেই।  


নিঃস্ব। শূন্য ইলোরাদের স্বপ্নের বীজ কারো না কারো বপন করতে হয়। বুকের গভীরের শূন্যতাকে পরখ করতে চেয়েছেন লেখক। সমাজের যে অশুভ তীর বিঁধে আছে নারীর জীবনগাথায়, তা থেকে মুক্তবিহঙ্গে পাখা মেলার স্বপ্ন দেখেছেন। সবকিছু ছেড়ে, সব ব্যথা ভুলে নতুনকে আঁকড়ে ধরার চিত্র এঁকেছেন। একেবারে এক একা। নিজের মতো। নিজের মাঝে বেঁচে থাকার তীব্র প্রেরণাবোধ তৈরি করেছে। সেখানেও কালো মেঘ করে এসেছে, মেঘ ভারি হয়েছে। চারদিকে ভৌতিক অন্ধকার নেমে এসেছে কিন্তু আশাহত হওয়ার প্রেরণা জোগাননি। 


সাদিয়া সুলতানা জীবনের নানান উত্থান-পতন এঁকেছেন উপন্যাসের পাতায়। গতিপথ বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে। যে মোড়ের অবস্থান কখনও দুঃখের সাগরে ভেসে গিয়েছে, কখনওবা স্বপ্ন দেখেছে প্রবলভাবে বেঁচে থাকার। বই থেকে–‘উঠানের ঘাসে পা ডুবিয়ে ও হাঁটে খানিকক্ষণ। পূর্বদিকের ল্যান্টেনার ঝোঁপ হলুদ কুসুমে সয়লাব। মোরগফুলের লাল-খয়েরি ঝুঁটি রোদে জ্বলজ্বল করছে। করমচাগাছের সাদা সাদা ফুল জ্যোতি ছড়াচ্ছে। পাঁপড়ি বোজা বেলি হাওয়ায় হেলছে দুলছে। ইলোরার ইচ্ছে ফুলকুড়ানি হয়। আসলে তো ও ঘুঁটেকুড়ানি। আনমনে হাসে ইলোরা।’ 


চারদিকে গোলকধাঁধাঁ। পালাবার পথ খোঁজা। আবার অবর্ণনীয় যাতনায় কেঁদে ওঠে স্বপ্নবোনার চিত্র। সামনের ধ্বংসস্তূপকে কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে সাহস জুগিয়েছে ‘বিয়োগরেখা’। লেখক কল্পনা জগতের চিত্র এঁকেছেন– “সময় ফুরোয় না। পথ ফুরোয় না। যেন হাঁটতে হাঁটতে দুজনে সেই জীবনে পৌঁছে গেছে, যে জীবনে কোনো ক্লেদ নেই, নেই কোনো বিষাদ। দূরে কোথাও জলজাহাজের তীক্ষ্ণ ভেঁপু বেজে ওঠে। তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণ হতে হতে সেই শব্দ ওর কানকে রক্তাক্ত করে তোলে। আঁতকে ওঠে ইলোরা, সতর্ক কানে মায়ের বজ্রনিনাদ শোনে, ‘এখনো ঘুম ভাঙে নাই... নবাননন্দিনীর!


‘‘ইলোরা চোখ মেলে। ফোনে কেউ ডেকে ডেকে থেমে যায়। ইলোরা ফেরারী। কেউ ডাকলেও যাবে না। জানালায় আলোছায়া পথ পেরিয়ে টেবিলের দিকে চোখ আটকে যায়। টেবিলে একটা সাদা খাম রাখা। খামটা সাগ্রহে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন ইলোরা তাকায়। এই দৃষ্টি বিনিময়ে অবলুপ্ত হতে থাকে সব হতাশা, মস্তিষ্কের কোণে কোণে মোহন এক সুর ছড়িয়ে পড়ে, নিয়োগপত্র! নিয়োগপত্র!”


ইলোরা আর স্বপ্নভঙ্গের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে চায় না। যে স্বপ্ন ধরা দিয়ে চলে যায়, সে স্বপ্নকে কীভাবে আগলে রাখা যায়? এই স্বপ্নের জগতকে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছেন লেখক। স্বপ্নে বাঁচে মানুষ– যে স্বপ্নে বাধা থাকে তবুও মানুষ ছুটতে চায়। ছুটতে চাওয়ার তীব্র প্রেরণায় নিজেকে হারিয়ে ফেলতে গিয়ে প্রবল উদ্যমে বেঁচে ফিরে। জীবনের যত বিয়োগরেখা সব যাতে লীন হয়ে যায়, সুখ স্বপ্নে বেঁচে থাকে এটুকুই লেখক প্রত্যাশা করেছেন। যে প্রত্যাশার সঙ্গী হবেন পাঠকেরা। 


কথাসাহিত্যিক সাদিয়া সুলতানা বর্তমানে বিচারক হিসেবে বাংলাদেশ বিচার বিভাগে কর্মরত। লিখছেন সৃজনশীল ও চিন্তাশীল সব সাহিত্যকর্ম। যা পাঠকের চিন্তা জগতকে নাড়া দেবে, ভাবতে বাধ্য করবে।

 

বিয়োগরেখা
সাদিয়া সুলতানা
মূল্য: ৩০০টাকা 
প্রকাশনী: দেশ পাবলিকেশন্স