ওষুধে নাকি কাজ হচ্ছে না। কমোডে ঢেলে ফ্ল্যাশ করে দিয়েছে। আমাকে বলেছে ‘কবিতা লিখে কী হয়?’ আমার নতুন লেখা কবিতাগুলি পড়ে মতামত দিয়েছে। তার মতামতের তেমন গুরুত্ব আমি দিই না তুমি জানো। কিন্তু তার প্রতি আমার অগাধ মমতা, তার মতামতকে, তার কথাগুলিকে আমার কানে বাজাচ্ছে অবিরাম আর মনে পড়ে কিছুকাল আগের একটি ঘটনা: প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে যে রাস্তায় আমি যেতে পারি না, সে রাস্তা দিয়ে ফিরছিলাম। শীতের আগে কী অসামান্য প্রকৃতি! রাস্তার দুইপাশে ঘন গাছপালা। সবুজ-হলুদ-কমলা-লালে মুখর বনাঞ্চল। হেমন্তের একটি দিন। তবু আশি ডিগ্রি তাপমাত্রা। আমি গাড়ির কাচ নামিয়ে দিয়েছি। ভেবেছি নেমে কোথাও দাঁড়াবো কিছুক্ষণ। কিন্তু ওই অপরূপ গাছপালার ভিতর দিয়ে মরা প্রাণীর বিকট গন্ধ আসছিল। যেভাবে ভকভকিয়ে আসে গাড়ির কালো ধোঁয়া। আমার আর দাঁড়ানো হলো না, না গেল কাচ নামিয়ে রাখা। যত দ্রুত সম্ভব আমি সে জায়গা পেরিয়ে যেতে চেয়েছি, যত দ্রুততায় আমি পেরিয়ে যেতে চাই আমার কবিতা।