ভ্রমণ

গিতরোঁকুখে লাকাঁর শেষ ঠিকানায়

বিধান রিবেরু প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৭:১৬ পিএম

দুনিয়ার সকল কিছুই নাকি আয়নার মতো আচরণ করে। আমাদের অভিজ্ঞতাও কিন্তু তাই বলে। আমরা যখন কোনো মানুষের সামনে দাঁড়াই, সেই মানুষের চোখের তারায় প্রতিফলিত ‘আমাকে’ দেখে নতুন করে নিজেকে চিনি। চোখের তারা চিন্তার তর্জমাকারী নয় কি? নয় তো কেন লোকে গান লিখবে—চোখ যে মনের কথা বলে! বস্তুর সামনে যখন মানুষ দাঁড়ায়, মানুষ আসলে সমুখের বস্তুর আলোকেও নিজেকে পুনঃআবিষ্কার করে। যেমন আমি করেছি। জাক লাকাঁর সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে।

ফ্রান্সে গিয়েছিলাম এ বছরের (২০২২) মে মাসে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বাধীন বিচারক হিসেবে। কানে কাজ সেরে প্যারিসে আসার আগেই সব ঠিকঠাক করে রেখেছিল আমার বন্ধু মাজিদ হোসেন চৌধুরী রুহিন। ওকে বলে রেখেছিলাম লাকাঁকে দেখতে যাব। কেউই নাকি লাকাঁকে দেখতে যায় না, যেভাবে লন্ডনে মার্কসকে লোকে দেখতে যায়। কিন্তু ঢাকা থেকেই যেহেতু আমি রুহিনকে বলে রেখেছিলাম, ও মানচিত্র ঘেঁটে রাস্তা ঠিক করে রেখেছিল।

আমার সাথে ছিল ছেলে মনে আর স্ত্রী মনি। ঠিক হলো প্যারিসে আসার দ্বিতীয় দিন আমরা লাকাঁর কবরে যাব। পরিকল্পনা মাফিক সকাল সকাল আমরা উঠে বসলাম রুহিনের গাড়িতে। প্যারিসে আমাদের অস্থায়ী নিবাস আসনিয়েখে-সুখ-সেন অঞ্চলে। সেখান থেকে আমরা যাব গিতরোঁকুখ নামের এক অঞ্চলে। ইল-দো-ফঁসের এটি একটি কমিউন বা প্রশাসনিক বিভাগ। তো সেখানে ‘প্রেভোতে’ নামের এক বাড়ি কিনেছিলেন লাকাঁ। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। মৃত্যুর পর লাকাঁকে কবর দেয়া হয় অদূরে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে থাকা এক নিভৃত কবরস্থানে।

নিরব কবরস্থানে বন্ধু ও পরিবারসহ লেখক

 

রুহিন বলছিল, ও আঠারো বছর থাকে প্যারিসে, কিন্তু বাংলাদেশী কেউ দূরে থাক, ফরাসি কাউকে কখনো লাকাঁর ‘মাজারে’ যেতে দেখেনি। ওকে বললাম, লাকাঁর প্রতি এই মনোযোগ সম্ভব করে তুলেছেন আমার শিক্ষক সলিমুল্লাহ খান। যদি বলি, ঢাকার বুদ্ধিবৃত্তিক মহলে লাকাঁকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনি একাই, তাতে ভুল বলা হয় না। তিনি মাসের পর মাস যেভাবে লাকাঁর বক্তৃতা ধরে ধরে সেমিনার করেছেন, তাতে আর যাই হোক, আমার মতো মানুষের বেশ উপকার হয়েছে। অন্তত মনোবিশ্লেষণের মতো কঠিন বিষয়কে বুঝতে পেরেছি, তারই সূত্র ধরে প্রবেশ করতে পেরেছি দর্শনের বিভিন্ন মহাত্মাদের মহলে।

মূল প্যারিস থেকে উত্তর-পশ্চিমে থাকা গিতরোঁকুখের দূরত্ব সাড়ে ৬৬ কিলোমিটার, গাড়িতে যেতে এক ঘন্টার একটু বেশি লাগবে বলছে গুগল ম্যাপ। আমরা যখনই শহর ছেড়ে গ্রামের পথ ধরলাম, মনে হলো আকিরা কুরোসাওয়ার ‘ড্রিমস’ চলচ্চিত্রের ভেতর প্রবেশ করেছি। ফরাসি চিত্রশিল্পীদের কাজ যেন বাস্তব হয়ে ধরা দিতে শুরু করল আমাদের সামনে। উপরে টুকরো টুকরো সফেদ মেঘ বুকে নিয়ে গাঢ় নীলাকাশ, আর নিচে সবুজ প্রান্তর যেন আয়নার মতোই আমাদেরকে ছড়িয়ে দিচ্ছিল তাদের মাঝে। অথবা এই মোহনীয় রৌদ্রোজ্জ্বল প্রকৃতি যেন আমাদের আয়নায় ধরা পড়ে হয়ে উঠছিল আরো ব্যঞ্জনাময়। বোদলেয়ারের পংক্তি খেলে যাচ্ছিল স্মৃতির দর্পনে: “আমি ভালোবাসি মেঘ … চলিষ্ণু মেঘ … অই উঁচুতে …/ আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল!” 

মনি আর আমার মনে হচ্ছিল এই পথ শেষ না হলে বেশ হতো। বিস্তীর্ণ নয়নাভিরাম ভূমি পেরিয়ে আমরা একটা আবাসিক অঞ্চলে ঢুকে পড়লাম। রাস্তার পাশে খামারবাড়িগুলো দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। পাথর আর কাঠ দিয়ে তৈরি দোতলা আর তেতলা সব বাড়ি। চিমনি আছে। সামনে ঘাসের কার্পেট বিছানো খোলা জায়গা। মনে হয় অষ্টাদশ বা উনবিংশ শতাব্দীর কোনো উপন্যাসের পাতায় এসে আমরা হাজির হয়েছি। রুহিন বলল, এসব বাড়িতে ফরাসি দেশের ধনীদের বাস। তারা শহরের ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে এখন এসব জায়গায় নিরিবিলিতে থাকে। চারিদিকে প্রকৃতির লীলাভূমি। এখানে থাকলে মানুষের আয়ু বেড়ে যাবে হুহু করে। এমন পরিবেশের কাছে প্যারিসের মতো মোহনীয় শহরও আমার কাছে আকর্ষণহীন বলে মনে হলো। এরকম জায়গায় তারা ভর্তি আকাশের নীচে যদি এক রাত কাটানো যেত, তাহলে নির্ঘাত ভ্যানগখ হাজির হতেন ‘স্টারি নাইট’ নিয়ে। কেমন ঘোর লাগা, আবেশ মাখা নক্ষত্রখচিত রাতই না তিনি এঁকেছিলেন।

গুগলের মানচিত্র ধরে ধরে আমরা এসে থামলাম একটি কবরখানায়। বিশ্বাস হচ্ছে না। এখানেই চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন জাক লাকাঁ! যিনি বিংশ শতাব্দীর ষাট ও সত্তর দশকে মনোবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন এবং যার ধাক্কা লেগেছে সাহিত্য, দর্শন, চলচ্চিত্র, এমনকি সাধারণ মানুষের চিন্তাজগতে। ১৯০১ সালের ১৩ এপ্রিল প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন লাকাঁ। মারা যান ১৯৮১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ফ্রয়েডের চিন্তাকে তিনি সম্প্রসারিত করেছেন। ফ্রয়েডের আবিষ্কৃত অচেতনকে নিয়ে তুলনা করে দেখিয়েছেন ভাষা কাঠামোর সঙ্গে। মানুষের মনকে তিনভাগ করেছিলেন ফ্রয়েড: সুপারইগো, ইগো ও ইদ। মন বিশ্লেষণে লাকাঁর প্রস্তাবও গিয়ে ঠেকেছিল ত্রয়ীতে: সিম্বলিক, ইমাজিনারি ও রিয়াল অর্ডার। বললেন, এই তিন পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে বরোমিয়ান নটের মতো করে। আর সেই বন্ধনের ভেতরেই চিরন্তন বাসনার বসতি। মানুষের কামনা, বাসনা, প্রেম ও ঘৃণা নিয়ে লাকাঁর প্রস্তাব আধুনিক যুগের চিন্তাবিদদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। সত্তরের দশক থেকেই তাঁর ভাবনা ও প্রস্তাব লাকাঁনীয় দর্শন হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকে। আধুনিক সময়ে যারা জ্ঞানতাত্ত্বিক চর্চা করেন, তাদের কাছে লাকাঁ এক মাইলফলকের নাম। তো তাঁর চিরনিদ্রায় ঘুম ভাঙাতে নয়, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যখন গাড়ি থেকে নামলাম, তখন মনে বলল, সে নামবে না, গাড়িতেই থাকবে। কিন্তু বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাকে নামানো হলো। পরে সে-ই বেশি মজা করেছে। 

বুক সমান উঁচু একটা লোহার গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম। কবরস্থানটি বেশি বড় নয়। এক বিঘার মতো হবে। সেখানে এপিটাফ লেখা কত কবর। অনেক কবরের উপর ফুল দেয়া। নিভে যাওয়া মোমবাতি। ছবি, কার্ড, এমনকি ছোটছোট খেলনা। ঘাসের গালিচার নীচে আত্মাহীন দেহের সারি। আমাদের চোখ খুঁজে-ফিরছে লাকাঁর কবর। কবরখানার ডানদিকে সবুজ ঘাস, বড় বড় গাছের সমারোহ। এখনো ওদিকটায় কবর হয়নি। বামদিকে পাথরে বাঁধানো সব কবর। আমরা সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলাম। কিন্তু কেউই লাকাঁর কবর খুঁজে পাচ্ছে না। রুহিন ইন্টারনেট থেকে কবরের ছবি বের করল, কিন্তু ছবির সাথে মিলছে না একটিও। চিন্তার ভাঁজ কপালে। ঠিকঠাক এলাম তো! দশ মিনিটের বেশি হয়ে গেছে, আমরা নাম মিলিয়ে মিলিয়ে পড়ছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম কবরস্থানটির পেছনের দিকে টিলার মতো উঁচু জায়গা রয়েছে। সেখানে খুব সুন্দর একটি কবর। দরজা বসানো নক্সা করা সেই কবরটিকে কাছ থেকে দেখার জন্য উপরের দিকে উঠতে লাগলাম।

ঝলমলে রোদ। গাঢ় নীল আকাশ। বিচিত্র সব পাখির কলকাকলি। বাড়তি কোনো কোলাহল নেই। শীতল ঝিরঝির বাতাস। এমন পরিবেশ কবরস্থানেই যেন মানায়। ঝিম ধরা দুপুরে এত এত কবরের মাঝে একটু যে শিরশিরে অনুভূতি কাজ করছে না তা বলা যাবে না। কিন্তু লাকাঁর সান্নিধ্য পেতে এত দূর এসেছি, সেই অনুভূতিটাও কম জোরালো নয়। উঁচু জায়গায় থাকা খুদে গীর্জার মতো করে বানানো কবরটির কাছে যেতেই নজরে আসে ডান দিকে, খুব সাদামাটা সিমেন্টের একটি স্ল্যাব, তার উপরে জাক লাকাঁর নাম ও জন্ম-মৃত্যু লেখা। কবরটির নীচের দিকে কয়েকটি ফুলের টব। এখানে শায়িত গত শতাব্দীর অন্যতম দার্শনিক। আমার মনের অবস্থা তখন বোঝানো মুশকিল। ভাবছি, যুগ পাল্টে দেয়া এক মূর্তিভঙ্গকারীর সামনে আমি অতি নগণ্য এক মানুষ দাঁড়িয়ে। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হলো। আমি সলিমুল্লাহ খানকে ভিডিও কল দিলাম। তিনিই আমাকে লাকাঁ সম্পর্কে চক্ষুদান করেছেন। কয়েকবার ফোন দেয়ার পরও যখন পেলাম না, তখন স্যারের সহযোগী শরীফকে ফোন দিয়ে জানলাম, স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগীয় মিটিংয়ে আছেন। তাই ফোন নিরব।

কি আর করা, খুব ইচ্ছা ছিল ভিডিও কলে স্যারকে লাকাঁর সাথে যুক্ত করে দেবো। হলো না। আর কিছুক্ষণ আমরা ওখানটায় থাকলাম। ছবি তুললাম। ভিডিও করলাম। মনে ঢাল বেয়ে ওঠা-নামা করে খুব মজা পাচ্ছে। নরম ঘাসে গড়াগড়িও খাচ্ছে। মনি আমার অনেকগুলো ছবি তুলে দিলো। আমার চোখমুখ দেখে মনি বুঝতে পারছে আমি কতোটা আপ্লুত, বিমোহিত ও আনন্দিত। আমার বন্ধু রুহিন বলল, লাকাঁর প্রতি আমার প্রেম দেখে সেও অবাক। কথায় কথায় বলল, সম্ভবত আমরাই প্রথম বাংলাদেশী, যারা লাকাঁর কবর ‘জিয়ারত’ করে যাচ্ছি।

লাকাঁর কবরের ঠিক সামনেই রয়েছে গীর্জার আদলে তৈরি একটি কবর।

 

কবরখানা থেকে বেরিয়ে কিছু দূরেই এক খাবারের দোকান পাওয়া গেল। খুবই ছিমছাম পরিবেশ। স্বামী-স্ত্রী মিলে দোকানটি চালায়। চার-পাঁচটি টেবিল পাতা। মেইন ডিশের সাথে স্টার্টার অথবা ডেজার্ট, যে কোনো একটি নেয়া যাবে। মনি নিলো স্টার্টার। আমি ডেজার্ট। রুহিন বলল, খ্রেম ব্রুলে নিতে। এটা নাকি খাঁটি ফরাসি মিস্টান্ন। ডেজার্ট হিসেবে তাই খাঁটি জিনিসটিকেই অর্ডার করলাম। মনি পূর্বাহার হিসেবে পাতে তুলল সসেজ ও মর্টাডেলা চিকেন। মনে খুব মজা করে খেল। এরপর টেবিলে পরিবেশন করা হল অর্ডার করা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসহ বিশাল বার্গার আর সাদা দ্রাক্ষারস। রুহিন নিয়েছিল সালাদ। আমরা বেশ পেট পুরে খেলাম। খেতে খেতে রুহিন দোকানিদের সাথে আড্ডা মারছিল। বলছিল, আমরা লাকাঁর কবর দেখতে গিয়েছিলাম। ওরা একটু অবাকই হলো। এবং বিস্ফারিত চোখে আমাদের দিকে তাকাল। বিস্ময় কাটিয়ে দোকানি সর্বশেষে নিয়ে এল সেই বিখ্যাত খ্রেম ব্রুলে। খ্রেম ব্রুলের মানে ‘ক্রিম পোড়া’। খাবারটি মূলত পুডিং, কিন্তু উপরে থাকা চিনির প্রলেপটি পুড়িয়ে দেয়া হয়। খেতে বেশ সুস্বাদু। মনেও খেল কয়েক চামচ।

খাওয়ার মাঝেই ফোন দিলেন সলিমুল্লাহ খান। তাঁকে যখন বললাম, আমি এই মাত্র লাকাঁর কবর দেখে এলাম। হাজার মাইল দূরে বসেও দেখলাম, মানুষটার চোখ ভিজে উঠেছে পানিতে। উনি কখনো ফ্রান্সে আসেননি, কিন্তু ঠিকই বলে দিলেন, এটা তো গিতরোঁকুখ এলাকায়। ওখানে লাকাঁ বাড়ি কিনেছিলেন। লাকাঁ নিয়ে সলিমুল্লাহ খানের লেখাপড়া ও সাধনা দুই বাংলাতেই জুড়ি মেলা ভার। স্যার অভিনন্দন জানালেন, আমি কান উৎসবে স্বাধীন জুরি হিসেবে অংশ নিয়েছি বলে। উনি আসার আগেই কিছু বইয়ের নাম দিয়ে দিয়েছিলেন। বললাম, স্যার বইগুলো সংগ্রহ করছি ধীরে ধীরে। আবারো তৃতীয় নয়নে স্পষ্ট দেখতে পেলাম, স্যারের আনন্দঘন চোখ।

খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে না হতেই দেখি দোকানি দোকান বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে, বিকাল বাজে তিনটা, এর মধ্যেই ঝাঁপ নামাবে ওরা। দুপুরের খাবারের সময় শেষ, তাই আপাতত দোকান বন্ধ। দোকানে আসা দুই ভদ্রলোকের সাথে ছিল একটি সাদা রঙের ছোট্ট কুকুর। অনেকটা টিনটিনের কুট্টুসের মতো দেখতে। মনে খুব পছন্দ করল। খেলল ওটার সাথে। আর মনি তো কোলে তুলে ছবিই তুলে নিলো পটাপট।

দোকান নয়, মনে হলো কোনো পরিচিত পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম বাইরে। এরা প্রত্যেকেই ভীষণ আন্তরিক। অমায়িক মানুষগুলোর রেস্তোরাঁর নামটা না বললেই নয়: লেঁ’ত্রক্তে। l‍‍`entracte শব্দটির মানে হলো গানের মাঝে যে ইন্টারলিউড থাকে সেটি। সঙ্গীত বিরতি। ঘটনা আসলেই তাই। আমরা একটু বিরতিই নিলাম। ফ্রান্সে তো আকাশ অন্ধকার হয় রাত সাড়ে নয়টায়। কাজেই এখনো অনেক সময় হাতে আছে। রুহিন গাড়ি ঘোরালো পশ্চিম দিকে। আমরা এখন পাড়ি দেবো ২৯ কিলোমিটার পথ। আধ ঘন্টার মতো লাগবে। গন্তব্য জিভার্নি। চিত্রশিল্পী ক্লদ মনের বাড়ি।