মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের আলোচিত নাটক ‘শিখণ্ডী কথা’। নাটকটি এখন ২০০তম মঞ্চায়নের দিকে ধাবমান। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহিলা সমিতির মঞ্চে প্রদর্শিত হবে নাটকটির ১৮৩ মঞ্চায়ন। পরের দিন একই সময়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে নাটকটির ১৮৪তম মঞ্চায়ন।
নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান। নির্দেশনায় রয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদ হারুন।
এ নাটকের প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০০২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মহিলা সমিতির মঞ্চে। ২০১০ সালের ৩ মার্চ শততম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর নাটকটির দেড়শততম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ২৪ মে অনুষ্ঠিত হয় নাটকটির সর্বশেষ প্রদর্শনী।
গল্প প্রসঙ্গে নির্দেশক জানান, যাকে নিয়ে এই নাটকের কাহিনি, তার সুখ-দুঃখ, কথা ফুল হয়ে ফুটে উঠবে নটনটীদের অঙ্গে উপাঙ্গে শাখা-প্রশাখায়। যার বেদনা গীত হবে, সে এখন মায়ের গর্ভে বাঁকানো ত্বকের ছইয়ের নিচে ছোট্ট ভ্রুণ। এ ভ্রুণ জানে না কৈশোরে সে পরিবার থেকে বিতাড়িত হবে, যৌবনে তার কামনা-বাসনা পচবে গলবে নিজের ভেতরে, এক ভয়ানক বেদনায় নিজেকেই নিজে খুন করার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠবে, জীবন যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়ে এ ভ্রুণ একদিন ঈশ্বরের মুখোমুখি দাঁড়াবে। এই ভ্রুণ সমাজের সভ্যজনদের সমবেত করে পরনের কাপড় টুকরো টুকরো করে ছিঁড়বে এই জনমে।
‘শিখণ্ডী কথা’ নাটকের নেপথ্য শিল্পীরা হলেন— পোশাক পরিকল্পনায় ওয়াহিদা মল্লিক, সূচনা সংগীত ইউসুফ হাসান অর্ক, আবহ সংগীত সুলতানা ইয়াসমীন হক ও আব্দুল আলীম, মঞ্চ পরিকল্পনায় তানভীর হাসান ও মু. শফিকুল ইসলাম, আলোক পরিকল্পনায় রফিকুল হক হিমেল, কোরিওগ্রাফি রাজশ্রী রায় এবং রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়।
নাটকটির কুশীলব হলেন মীর জাহিদ হাসান, পলি বিশ্বাস, উৎপল চক্রবর্তী, উজ্জ্বল আচার্য্য, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. শাহনেওয়াজ, সৈয়দ ফেরদৌস ইকরাম, কামরুজ্জামান সবুজ, সৈয়দ লুৎফর রহমান, ইকবাল চৌধুরী, বিথুন আহমেদ, সোনিয়া ইসলাম, পূর্ণিমা সাহা, সাথী, শাপলা, সামিউল জীবন, ইমতু রাতিশ, তৌহিদুর রহমান শিশির, সামসুল আলম, বাহার সরকার, রাসেল আহমেদ, রিফাত হোসেন জুয়েল, আসাদুজ্জামান রিফাত, রাজিব হোসেন।