পার্থ সনজয়ের কান ডায়েরিতে ফরাসি ঘ্রাণ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২২, ০৫:১৭ পিএম

যাঁরা অভিনয় করেন, ছোট-বড় ভিসুয়াল প্রেসেন্টেশন বা চলচ্ছবি নির্মাণ করেন, ছবির ব্যবসা করেন, যে ছবিপ্রেমীরা বিনোদনের মাধ্যমে জীবন দর্শন আর বোধের আভাস নিতে ভালবাসেন, যাঁরা সংস্কৃতি, জগতের খবরাখবরের প্রচারক সবার কাছেই এক ঠিকানা, কান চলচ্চিত্র উৎসব। পার্থ সন্‌জয়ও ব্যতিক্রম নন । তবে আরেক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি আলাদাও। স্বপ্নের পিছু ছোটা সফলদের অন্যতম তিনি। সেই পথ পরিক্রমার বয়ান সাজিয়েও তিনি অনন্য। ফ্রান্সে একুশের ছায়াছবির উৎসবে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় অর্জন তাঁকে উসকে দিয়েছে কান ফেস্টিভাল আর বাংলাদেশের ফিল্মের মেলবন্ধনের কথামালা সাজাতে। সেখানে পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশের শিল্পী, সংগঠক ও কলাকুশলীদের ঘিরে সাজিয়েছেন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ডালি। বাদ পড়েননি চলচ্চিত্রবিশ্বের নামিদামিরাও। 

ওহ্ বাংলাদেশ না গালগল্প, না ভ্রমণকাহিনি, না ঘটনাবলির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা, না স্মৃতিচারণ, না বহু প্রতিবেদনের সংকলন। গল্পের ঢংয়ে প্রাঞ্জল ভাষা, আন্তরিক উপস্থাপনা। বাদ পড়েনি কাজের আগে-পরে হোস্ট-আহার-বাসস্থান আর ইতিউতি ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরে দেখার গল্প। যেগুলো আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে তাঁর চলচ্চিত্র উৎসব উপাখ্যান। লেখার সঙ্গে সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ছবি, এক ঝলকেই দেয় একটা সজীব আবহ। সব অনুষঙ্গ নিয়ে লেখার জমাট গাঁথুনি পাঠককে নির্ঘাত এক নিঃশ্বাসেই পড়া শেষ করবার তাগাদা দেবে। কিন্তু দীর্ঘসময় রয়ে যাবে, অর্জনের উপলব্ধি আর ফরাসি ঘ্রাণ। 

বইটি বেরিয়েছে ২০২২ সালের একুশে গ্রন্থমেলায়, নিমফিয়া পাবলিকেশন থেকে। পার্থ তানভীর নভেদের সম্পাদনায় বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন সব্যসাচী হাজরা। কান ডায়েরি ওহ্ বাংলাদেশ লেখকের প্রথম গ্রন্থ । 

পার্থ সন্‌জয় নামে পরিচিত টিভি জার্নালিস্টের প্রকৃত নাম সঞ্জয় দাস। জন্ম সত্তর দশকে বগুড়ায়। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ধনঞ্জয় কুমার দাস, মা নিয়তি রানী দাস। দুজনেই ছিলেন সরকারি সমবায় কর্মকর্তা। পৈতৃক ভিটে নোয়াখালির বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে বেড়ে উঠেছেন এক সাংস্কৃতিক আবহে। তিন ভাইবোনই খেলাঘরের সদস্য। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোট সজয় মেতে থাকে আবৃত্তি, ছবি আঁকা আর বিতর্কশিল্প নিয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয় থেকে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর। জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য প্রতিযোগিতা, বোধন আবৃত্তি দলে বাচিকশিল্পের চর্চা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই লেখালিখির শুরু। প্রথমে ভোরের কাগজ পরে প্রথম আলোর প্রদায়ক। টেলিভিশনে সাংবাদিকতার শুরু ২০০৬ সালে। আরটিভি থেকে বৈশাখী হয়ে ২০১১ সাল থেকে আছেন একাত্তর টেলিভিশনে।