মেলায় নতুন বই এসেছে ১২৯টি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম
ছবি: সংবাদ প্রকাশ

আজ শনিবার অমর একুশে বইমেলার ১৯তম দিন। বরাবরের মতো আজও মেলা চলে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। এছাড়া সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। এদিন নতুন বই এসেছে ১২৯টি।

এছাড়া আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও স্মরণ অনুষ্ঠানে কাজী মনজুরে মওলা ও হাবীবুল্লাহ সিরাজী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, আসাদ মান্নান এবং সাহেদ মন্তাজ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুব্রত বড়ুয়া।

প্রাবন্ধিক বলেন, “কবি মনজুরে মওলা এবং কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী দু’জনেই শিল্প-সাহিত্য-পরিম-লে পরিচিত দুই নাম। দু’জনেই বাংলা একাডেমিতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। জনপ্রশাসকের পেশা কাজী মনজুরে মওলার বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকা-কে কিছু বিশেষ চরিত্র ও ঝোঁক জুগিয়েছিল। গবেষক-লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তার জানাশোনা ছিল বিস্ময়কর। অন্যদিকে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী প্রকৌশল-বিদ্যায় শিক্ষালাভ করলেও কাব্যজগতে বিচরণ করেছেন সাবলীলতার সঙ্গে। বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে এই দুজন কবিই স্বতন্ত্র কাব্য-ভাবনা, ভাষা ও বক্তব্য তাদের কবিতায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।”

এ সময় আলোচকবৃন্দ বলেন, “বাংলা কবিতার ইতিহাসে কবি মনজুরে মওলা ও কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কবিতা যে স্থায়ী আসন অর্জন করেছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মনজুরে মওলার রসবোধ ও সহজ-সরস সাহচর্য ছিল সবার উপভোগ্য। অন্যদিকে কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ছিলেন সদাহাস্য, উদারচিত্ত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আমাদের মণিকোঠায় এ দুজন বরেণ্য মানুষ তাঁদের সৃষ্টিশীলতার গুণে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।”

সভাপতির বক্তব্যে সুব্রত বড়ুয়া বলেন, “কবি মনজুরে মওলা এবং কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী-এ দুজন গুণী ব্যক্তি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় মেধা ও মননের প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাদের জীবন, আদর্শ ও কর্ম আমাদের চিন্তার জগৎকে আরো প্রসারিত করবে।”

এদিকে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন বিমল গুহ এবং শাহেদ কায়েস। আজকের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি ঝর্না রহমান এবং ইমরুল ইউসুফ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল ‘কাশফুল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’-এর পরিবেশনা।

এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন সাইদুর রহমান বয়াতী, আমিরুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার দাস, নাজমুল করিম মানিক, রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং শারমিন সুলতানা, শিমু দে। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন জয় প্রসাদ সিংহ রায় (তবলা), মো. দেলোয়ার হোসেন (দোতারা), মো. হাসান আলী (বাঁশি) এবং আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড)।

আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচী 

আগামীকাল রোববার অমর একুশে বইমেলার ২০তম দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান : বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জন্মশতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি : নীলিমা ইব্রাহিম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নিশাত জাহান রানা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আজিজুর রহমান আজিজ এবং আহমেদ মাওলা। সভাপতিত্ব করবেন মনিরুজ্জামান। এছাড়াও সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।