রাজধানীর মগবাজারে এক গাইনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বের হয় রিজিয়া-আনিস দম্পতি।
বলে রাখা ভালো, তাদের বিয়ের সাত বছর হয়ে গেল। পরস্পর ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল। যদিও বিয়েতে পরিবারের সম্মতি ছিল। বিয়ের পর তারা ভাবল, আরেকটু গুছিয়ে নিই। আনিস বলেছিল, ‘বেতনটা একটু বাড়ুক, তারপর বেবি নেব।’ রিজিয়ারও তাতে সম্মতি ছিল।
দুই বছর পর যখন তারা সিদ্ধান্ত নিল; তখন বাধল বিপত্তি। রিজিয়া কনসিভ করছে না। এক বছর অপেক্ষা আর চেষ্টা চালিয়ে গেল। তাতেও কাজ হয়নি। রিজিয়ার পীড়পীড়িতে একজন ডাক্তার দেখাল। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বললেন, ‘সব ঠিকই আছে। এই ওষুধ দুটো খেতে হবে। ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।’
তাতেও মুখে হাসি ফোটেনি তাদের। ঘর যেন দিন দিন অন্ধকারই হয়ে যাচ্ছে। নানাজনের পরামর্শ নেয়। ফকির-কবিরাজের তাবিজ-তুমারও বাদ যায়নি। যদিও এসবে ভরসা ছিল না আনিসের। রিজিয়ার কথা ভেবে চুপ করে থেকেছে। তবে কখনোই রিজিয়াকে কষ্ট দেয়নি। দোষারোপ করেনি। কটুকথা বলেনি। বরং সান্ত¦না দিয়েছে। পাশে থেকেছে। মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে। এভাবেই কেটে গেছে সাতটি বছর। অথচ আনিসের বেতন বেড়েছে। বড় ফ্ল্যাটও হয়েছে। শুধু এখনো সন্তানের মুখ দেখেনি তারা। এ নিয়ে অনেক আক্ষেপ তাদের। অনেক অনুশোচনাও।
ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতে যেতে মালিবাগ রেলগেট পার হওয়ার আগে সিগন্যালে গাড়ি থামায় চালক। ভাবতে ভাবতে এতক্ষণ এসবের দিকে খেয়ালই ছিল না আনিসের। ট্রেন আসবে হয়তো। ট্রেনের হুইসেল কানে আসেনি এখনো। দুজনেরই অস্থির মন। গোমরা মুখ। ভালো কোনো সংবাদ নেই। মনের অস্থিরতায় চোখ দৌড়ে বেড়ায় এদিক-ওদিক। হঠাৎ একটি বিদ্যুতের খুঁটির দিকে চেয়ে চোখ আটকে যায় আনিসের।
রাস্তার পাশে থামানো গাড়ি থেকে নামে আনিস। সঙ্গে সঙ্গে রিজিয়াও নামে। ড্রাইভার বসে থাকে কিছু বুঝতে না পেরে। কিছুটা বিরক্ত হয় মনে মনে। কিছু বলতে পারে না। ড্রাইভার ভাবে, যেকোনো সময় সিগন্যাল ছেড়ে দেবে। পেছনের গাড়ির চালকদের বকা শুনতে হতে পারে। তবু মালিকের কাজে ড্রাইভারের নাক গলানো সমীচীন নয় বলে চুপ করে থাকে। মনে মনে বলে, এটা কি নামার সময় হলো? স্টিয়ারিং তার হাতেই ধরা। কিছুই বুঝতে পারে না সে।
আনিস খুঁটিতে সাঁটানো একটি বিজ্ঞাপন পড়ে। বিজ্ঞাপন বললে ভুল হবে। এক নারীর আকুল আবেদন বলা যায়। তাতে বড় বড় টাইপে লেখা, ‘আমার নাম ছুমাইয়া। আমার পেটে একটা বাবু আছে। অভাবের কারণে এই বাবু বিক্রি করে ফেলব। যদি কেউ এই বাবুটিকে নিতে চান।’ এরপর যোগাযোগ লিখে একটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে।
আনিস লেখাটি পড়ে নিজের স্মার্টফোনে ছবি তুলে নেয়। ফোনটা পকেটে রেখে গাড়িতে এসে বসে। রিজিয়া কোনো প্রশ্ন না করে আনিসকে অনুসরণ করে। একটি ট্রেন ততক্ষণে মালিবাগ ক্রস করে গেছে। আরেকটি ট্রেন উল্টো দিক থেকে হয়তো আসছে। কারণ, সিগন্যাল এখনো ওঠেনি। ড্রাইভারের সামনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করে না তারা। আনিস পকেট থেকে ফোনটা বের করে ছবিটা দেখতে থাকে। বারবার পড়ে বিজ্ঞাপনটি। বিশ্বাস করতে পারে না। বিশ্বাস করতে চায় না। তারপরও আজব পৃথিবীতে অনেক কিছু বিশ্বাস করতে হয়, অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। ততক্ষণে সিগন্যাল উঠে গেছে। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে এগিয়ে যায় রেললাইন পার হতে।
বাসায় এসে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয় আনিস। রিজিয়া তার রুমেই বসে থাকে খাটের কোনায়। বিষাদে ভারাক্রান্ত মন। চেষ্টা তো কম করেনি। রিজিয়াও তো মা হতে চায়। মনে-প্রাণেই চায়। তার জন্য কত ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েছে। কত ওষুধ-পানিপড়া খেয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। আনিস তাকে কখনোই দোষারোপ করে না। তারপরও নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী মনে হয়। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। অনেকে এমনভাবে প্রশ্ন করে, যেন সন্তান তাদের পেটেই ধারণ করবে। তাই তো কোনো অনুষ্ঠানেও আজকাল যায় না। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। আনিসের বাবা-মা জানতে চায়, ‘আমরা কি আর নাতি-নাতনির মুখ দেখবার পারুম না?’ আনিস বলে, ‘দোয়া করো, আল্লাহ চাইলে অবশ্যই পারবে।’ কিন্তু কবে? সেই প্রশ্নের উত্তর আনিসের কাছে নেই। তাই তো নানাজনের নানা প্রশ্নে ভেতরে ভেতরে বিরক্ত হয় আনিস ও রিজিয়া। কিন্তু নিজেদের অপারগতার কথা ভেবে প্রকাশ্যে কোনো জবাব দেয় না।
হাত-মুখ মুছে আনিস হাতে তুলে নেয় ফোনটি। একটু ভেবেচিন্তে ফোন করে বিজ্ঞাপনের ওই নম্বরে। একজন নারীকণ্ঠে ‘হ্যালো’ বলে।
‘আমি আনিস।’
‘কোন আনিস?’
‘আপনি চিনবেন না। আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।’
‘আমারে ফোন দিছেন ক্যান?’
‘দেয়ালে লাগানো একটা কাগজ দেখে।’
‘ওহ। যাউক, বুঝছি। আইজ সকালেই লাগাইছি। আপনিই প্রথম ফোন দিলেন।’
‘আচ্ছা, তাহলে তো ভালোই হলো।’
‘বাবু কিনবেন?’
‘জি। যদি আপনি চান।’
‘আমি তো চাই-ই। তার জন্যই তো দেয়ালে বিজ্ঞাপন দিছি। শখ কইরা তো দেই নাই।’
‘সরি, বুঝতে পেরেছি।’
‘মেসেজে ঠিকানা দিতাছি। আইসা ফোন দিয়েন।’
‘আচ্ছা, ধন্যবাদ।’
বলে ফোন রেখে দেয় আনিস। ফোন কাটার পর মনে মনে ভাবে, সত্যিই কি তিনি বাচ্চা বিক্রি করবেন? আবার কোনো ধরনের ফাঁদ নয় তো? তাই গেলে রিজিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় রিজিয়া পাশেই ছিল। আনিসের ফোনালাপ শুনে চোখের দিকে তাকায়। ইশারা করে। সম্মত হয়। তবে কিছুটা খুশি, কিছুটা শঙ্কিত মনে হয় তাকে।
পরদিন সকালে অফিসে না গিয়ে আনিস আর রিজিয়া যায় ওই নারীর ঠিকানায়। বাসার কিছুটা কাছাকাছি গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ফোন করে আনিস। সামনে সরু গলি। গাড়ি ঢুকবে না। ড্রাইভারকে বলে দেয় কোথাও পার্কিং করে অপেক্ষা করতে। এর মধ্যেই আনিসের চেয়ে বয়সে ছোট এক লোক এগিয়ে আসে গলি দিয়ে। এসে সালাম দিয়ে বলে—
‘আপনে আনিস?’
‘জি, আমি।’
‘আপনেই ফোন করছিলেন?’
‘জি, আমিই।’
‘আহেন আমার লগে।’
বলে পথ দেখিয়ে এগিয়ে যায় লোকটি। যেতে যেতে উভয়ের মধ্যে কিছু কথা হয়। খুবই চাপা স্বরে। কখনো আবার নির্বাক তারা। আনিস-রিজিয়া মিনিট পাঁচেকের পথ অনুসরণ করে তাকে।
লোকটি ছুমাইয়ার স্বামী বারেক। স্বামী-স্ত্রী মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, বারেক এখন অসহায়। খুবই অসহায়। বলার কোনো ভাষা নেই তার। না পারে সংসার চালাতে, না পারে সবাইকে আগলে রাখতে। কারও কাছে হাত পাতারও উপায় নেই।
বাসায় গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। বলা যায়, ফাইনালি চুক্তিপত্র হয়। ছুমাইয়ার দাবি, সন্তান প্রসবের আগে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। প্রসবকালীন সব খরচ আনিসের। প্রসবের পর আরও বিশ হাজার টাকা দিতে হবে। শুনেই আনিস রাজি হয়ে যায়। আনিস ভাবে, এত কম দাবি তাদের। আনিস মনে মনে ভেবেছিল, হয়তো দুই-তিন লাখ টাকা চাইবে। এখন তার উল্টো মনে হচ্ছে। নিতান্তই বিপদে না পড়লে এমন সিদ্ধান্ত তারা নিত না। ছুমাইয়া-বারেক লোভী নয়, এটা সহজেই অনুমান করা যায়।
কথাবার্তা ফাইনাল করে আনিস জানতে চায়, ‘কিছু মনে করবেন না, একটা কথা জানতে পারি?’
‘কন, কী জানতে চান?’ জবাব দেয় ছুমাইয়া।
‘কেন বিক্রি করছেন বাচ্চাটি?’ জানতে চায় আনিস।
ছুমাইয়া অনুচ্চ স্বরে কাঁদে। চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে, ‘করোনায় চাকরি চইলা গেছে তার। তিন মাসের বাসাভাড়া জমছে। ঘরে খাওনের মতো কিছু নাই। নিরুপায় হইয়া বিক্রি করতাছি।’
এ সময় বারেক দুটি পিরিচে করে চানাচুর ও বিস্কুট এনে দেয়। তাদের আচরণ ও মেহমানদারিতে মুগ্ধ হয় আনিস ও রিজিয়া। চানাচুর-বিস্কুট খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প করে তারা। তাদের জীবনের গল্প। হাসি-কান্নার গল্প। অসহায় জীবনের গল্প।
ছুমাইয়া-বারেকের একটি মেয়ে আছে। নাম মরিয়ম। তিন বছর বয়স। হাসি-খুশিতে ভরা ছিল তাদের সংসার। ছুমাইয়ার স্বামী যে চাকরি করত, তাতে ভালোই চলে যেত। হঠাৎ করোনা এসেই সব ওলটপালট করে দিল।
সেদিন কথাবার্তা শেষ করে আনিস ও রিজিয়া চলে যায়। যেতে যেতে তারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
এরপর প্রতিদিন রিজিয়া ফোন করে খোঁজ নেয় ছুমাইয়ার। পেটের বাচ্চা যেন সুস্থ থাকে—তার জন্য নিয়মমাফিক ডাক্তার দেখায়। ছুমাইয়ার গর্ভধারণের বয়স এখন চার মাস।
এরপর বাকি সময়টা আনিস ও রিজিয়া উচ্ছ্বাস-উত্তেজনার মধ্যে কাটায়। বাচ্চার জন্য এটা-ওটা কিনে আনে। মাঝে মাঝে ছুমাইয়ার বাসায় ভালো-মন্দ বাজার করে দিয়ে আসে। দুই পরিবারের মধ্যে হৃদ্যতা যেন বাড়তে থাকে। আনিস-রিজিয়া অনেক জল্পনা-কল্পনা করতে থাকে। দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়। ঘনিয়ে আসে সন্তান প্রসবের দিন।
প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ছুমাইয়াকে। সব খরচ আনিসই বহন করে। অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করছে আনিস, বারেক ও মরিয়ম। অসহায়ের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে বারেক। নার্স এসে জানিয়ে যায়, ‘সুস্থ-সবল একটি ছেলে হয়েছে।’ শুনে বারেককে জড়িয়ে ধরে আনিস। বারেক নিরুত্তাপ। আনিসকে পাল্টা জড়িয়ে ধরে না। নিথর দাঁড়িয়ে থাকে ভাবলেশহীন।
কিছুক্ষণ পর ওয়ার্ডে এনে ছেলেটিকে ছুমাইয়ার কোলে দেয় নার্স। কোলে নিয়ে চোখের জল ফেলে। সবাই তাকিয়ে দেখে। বারেক একটু দূরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। বহু আকাক্সিক্ষত ছেলেসন্তানকে কোলে নেওয়ার ইচ্ছা জাগলেও সাহস হয় না। কারণ, বুকে আগলে রাখার শক্তি তার নেই। তাই বারবার চোখের কোণে জমানো পানি মুছে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। মরিয়ম অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে নবজাতকের দিকে। ঠিক তখন আনিস ও রিজিয়া এসে দাঁড়ায় তাদের পাশে। কাছে ডাকে বারেককে। বারেক এসে ছুমাইয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। বারেকের চোখে পানি।
বিকেলের দিকে ডাক্তার এসে ছুমাইয়াকে রিলিজ দেয়।
তারা চলে যাবে বাসায়। শূন্য হাতে। সময়মতো আনিস ও রিজিয়া আসে। তাদের কোলে নবজাতককে তুলে দেয় ছুমাইয়া। রিজিয়া কোলে নিয়ে আদর করে। চুমু খায়। রিজিয়ার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। ছেলেটিকে সুমাইয়ার কোলে ফিরিয়ে দিয়ে বলে—
‘ও তোমার কাছেই থাকবে ছুমাইয়া।’
‘কেন আপা? আরেকটু বড় অইলে নিবেন? এমন তো কথা আছিল না।’
‘সব সময় সব কথা থাকে না ছুমাইয়া।’
‘বোঝলাম না আপনার কথা।’
‘ছেলেটা আমি তোমাকে উপহার দিলাম।’
‘কন কি আপা? আমি কতগুলা টাকা নিলাম। চার মাস ধইরা ভালো-মন্দ খাওয়াইলেন। ডাক্তার দেখাইলেন। হাসপাতালের খরচ দিলেন। বাকি বিশ হাজার টাকা নেওয়ার সময় দিবেন কইলেন।’
ছুমাইয়ার কথা শুনে আনিস পকেট থেকে একটি খাম বের করে বারেকের হাতে দেয়।
‘এখানে বিশ হাজারই আছে।’
‘টাকা তো দিতাছেন ঠিকই। তাইলে বাচ্চা নিবেন না কেন? গায়ের রং একটু কালা অইছে বইলা? আসলে আমি কালা তো, পোলাডা আমার রং পাইছে। মাইয়াডা পাইছে অর মার রং। তয় দেইখেন, ও আপনাগো লগে থাকতে থাকতে ফর্সা অইয়া যাইবো।’ বলতে বলতে চোখ মোছে বারেক।
‘পাগলের মতো কথা বলো না বারেক। রিজিয়া যেটা বলছে; সেটাই করো। ওদের নিয়ে বাসায় যাও।’
ছুমাইয়া ও বারেক একে অপরের দিকে চেয়ে থাকে। মুখে কোনো কথা নেই। বলতে পারে না। কেন যেন নির্বাক মনে হচ্ছে নিজেদের। কিছু বলার শক্তিও যেন হারিয়ে ফেলছে।
‘হ্যাঁ ভাই, ছুমাইয়ার বুক খালি করে বাচ্চাটা আমি নিতে পারব না। আমার বুক ভরিয়ে তোলার জন্য আরেক মায়ের বুক খালি করব? তার চেয়ে আমার বুক শূন্যই থাক। আপনাদের জন্য কিছু করতে পেরেছি। ছেলেটাকে পৃথিবীর আলো দেখতে সাহায্য করেছি। এতেই আমি সন্তুষ্ট। আমি এতেই তৃপ্ত। সবার সব চাওয়া কি সব সময় পূরণ হয় বারেক ভাই? আপনি কোনো চিন্তা করবেন না, আপনাদের কিছু প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন। আমি মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসব আপনাদের। সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।’
রিজিয়ার কথা শুনে ছুমাইয়া-বারেক কেঁদে ফেলে। বারেকের হাতের মুঠোয় মুচড়ে যায় খামটি। আনিস-রিজিয়ার চোখেও জল, তবে ঠোঁটের কোণে হাসি।