জলের গেলাস,
শুনেছি সত্তর বছর আগে তুমি একদিন গুনগুন করে উঠেছিলে।
আর কেউ শোনেনি তোমাকে এ বাড়ির তখনো অবিবাহিত মেয়েটি ছাড়া।
চারপাশে নানা লোকজন
তবুও সন্ধ্যাবেলা একটা গানের অন্তরা ধরে তোমার গেয়ে ওঠা
শুনতে পায়নি কেউ।
সানাই বাজছিল এক তলার ঘরে।
বৃষ্টি ছিল তাই কোনো কোনো মেয়েদের খোঁপায় বেলি ফুলও গোঁজা ছিল।
অবিবাহিত মেয়েটি শূন্য রান্নাঘরে কিছু একটা নিতে এসে
শুনেছিল তোমার গুনগুন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে।
বাইরে বৃষ্টি তখন;
শূন্য গেলাস তোমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিল মেয়েটির আঙুল।
সেদিন বৃষ্টি থামার পর
এ বাড়ির মেয়েটি ছাদে একা ছিল
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে বহুক্ষণ।
সত্তর বছর পর
শূন্য বাড়িটার রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আমিও শুনতে পেলাম,
তুমি গুনগুন করে গান গাইছ জলের গেলাস।
বাইরে বৃষ্টি নেই
শুধু তৃষ্ণা পড়ে আছে পুরোনো জলের গেলাসের পাশে।