আজ ৮ অক্টোবর শুক্রবার, বিশ্ব ডিম দিবস। প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার দিবসটি পালিত হয়। 'প্রতিদিন ডিম খাই , রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই' এই শ্লোগানেই পালিত হচ্ছে দিবসটি।
ডিমকে ন্যাচারাল মাল্টি ভিটামিন বলা হয়। একটি সম্পূর্ণ ডিমে পানি থাকে ৬৩.৬%, আমিষ-১২.৮৩, খনিজ ১০.৭০, স্নেহ ১০৬ খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন। তাই সুস্থ দেহের জন্য ডিম বেশ উপকারী।
ডিম প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে কিছু ডিম টাটকা থাকে, কিছু আবার নষ্ট হয়ে যায়। ডিম নষ্ট হওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না হওয়াও একটি কারণ হতে পারে। আরও কিছু কারণ রয়েছে যা ডিম নষ্ট হওয়ার পেছনে দায়ী।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিমের মোটা অংশের কিছুটা জায়গা জুড়ে বাতাস থাকে। এই বাতাসে অক্সিজেন কমে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেড়ে গেলেই ডিম পঁচে যায়। তখনই ডিম নষ্ট হয়।
আরও একটি কারণ রয়েছে। ডিমের খোসায় অজস্র ফুটো থাকে। ওই ফুটো দিয়ে বাতাস ঢোকে। বাতাসের সঙ্গে জীবাণু ঢুকে যায়। এই জীবাণু ডিমকে নষ্ট করে দেয়।
এছাড়াও ডিমের টাটকাভাব অনেকটা পরিবেশের উপরও নির্ভর করে। ডিম ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় টাটকা থাকে। অন্যদিকে গরম তারমাত্রা রাখা ডিম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
ডিম যেন নষ্ট না হয় এর জন্য় ডিমকে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ডিমের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে। যতটা সম্ভব ঠাণ্ডা জায়গায় রাখতে হবে। ডিম কিছুদিন রেখে খেতে চাইলে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন। কয়েক মাস ডিম সংরক্ষণের জন্য় ১.৭-০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখুন।
ডিম নষ্ট কি না তা বোঝার কিছু উপায় রয়েছে। নষ্ট ডিম চেনার কিছু টিপস জানব এই আয়োজনে_